ছবিঃ সংগৃহীত
সপ্তাহের শুরুর ‘মন্ডে ব্লুজ’ আমাদের সবার পরিচিত। তবে বুধবার বা সপ্তাহের মাঝের ক্লান্তি, যা ‘মিডউইক ব্লুজ’ নামে পরিচিত, অনেকের মনোযোগ কেড়েছে। এটি কোনো ক্লিনিক্যাল সমস্যা নয়, বরং সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ের ক্লান্তি ও অনুপ্রেরণার ঘাটতির একটি সাধারণ রূপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সাময়িক এবং স্বাভাবিক। তবে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র হয় এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে, তবে তা হতাশা বা উদ্বেগের লক্ষণ হতে পারে।
মিডউইক ব্লুজের লক্ষণঃ
১. ক্লান্তি ও কর্মক্ষমতায় ঘাটতি।
২. কাজে মনোযোগ হারানো।
৩. অনুপ্রেরণা ও উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া।
৪. খিটখিটে মেজাজ এবং নেতিবাচক অনুভূতি।
৫. প্রিয় কাজেও আগ্রহ হারানো।
৬. ঘুমের সমস্যা।
সাধারণত সপ্তাহের শুরুতে ‘মন্ডে ব্লুজ’, মধ্য সপ্তাহে হতাশা, আর সপ্তাহের শেষে ইতিবাচক অনুভূতির উত্থান লক্ষ্য করা যায়।
মিডউইক ব্লুজের কারণঃ
মিডউইক ব্লুজ সাধারণত কর্মজীবী বা শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দেয়, যখন সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে কাজের চাপ বা একঘেয়েমি অনুভূত হয়।
১. কর্মস্থলের চাপঃ টার্গেট পূরণ বা ডেডলাইনের চাপ মধ্য সপ্তাহে তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
২. পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবঃ সপ্তাহের শুরুতে কর্মব্যস্ততার কারণে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যায়।
৩. অনুপ্রেরণার অভাবঃ নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ বা উদ্দীপনা না থাকলে কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায়।
৪. অবসর সময়ের অভাবঃ কাজ আর ঘুমের বাইরে সময় না থাকলে জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
মিডউইক ব্লুজ কাটানোর উপায়ঃ
মিডউইক ব্লুজ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে। যেমনঃ
১. ছোট বিরতি নিনঃ কাজের মাঝে কয়েক মিনিটের বিরতি নিয়ে পছন্দের গান শোনা বা একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
২. রুটিনে ভিন্নতা আনুনঃ সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলোতে নতুন কিছু চেষ্টা করুন, যেমন নতুন জায়গায় দুপুরের খাবার খাওয়া।
৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণঃ পুষ্টিকর খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
৪. মাইন্ডফুলনেস অনুশীলনঃ ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা জার্নালিং করলে মানসিক চাপ কমে।
৫. নিজেকে পুরস্কৃত করুনঃ একটি ছোট সাফল্য উদযাপন করলে অনুপ্রেরণা ফিরে আসবে।
৬. বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটানঃ কাজের বাইরে অন্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটালে মন ভালো হবে।
৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুনঃ ঘুমের ঘাটতি দূর হলে মন ও শরীর সতেজ থাকবে।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে মিডউইক ব্লুজ কাটানো অনেক সহজ হবে।
আসিফ