ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি: কী করবেন?

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি: কী করবেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে যদি এই বমি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় এবং নারীর দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে, তখন এই অবস্থাকে "হাইপার ইমেসিস গ্রেভিডারাম" বলা হয়। বিশেষত প্রথম গর্ভাবস্থায় বা জমজ সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।

সমস্যা শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা:
অতিরিক্ত বমির ক্ষেত্রে প্রথমেই গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়। যদি সমস্যার মাত্রা বেড়ে যায়, রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে সাধারণত মুখ দিয়ে খাবার খাওয়া বন্ধ করে রোগীকে স্যালাইনের মাধ্যমে পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। বমি কমানোর জন্য মুখে ওষুধ না দিয়ে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এ সময় রোগীকে ভিটামিন বি, সি এবং ক্যালসিয়ামও ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের মাত্রা নিশ্চিত করা হয়। যদি এগুলোর ঘাটতি থাকে, তা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

সুস্থতার লক্ষণ:
এই চিকিৎসার ফলে সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোগী স্বাভাবিকভাবে উঠে বসতে পারেন। বমি বন্ধ হলে এবং রোগী সুস্থ বোধ করলে তাকে মুখে খাবার দেওয়া হয়। এই সময় শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট, চিড়া বা টোস্ট খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে লিকুইড ডায়েট থেকে বিরত থাকা উচিত।

পরবর্তী যত্ন:
চিকিৎসার প্রাথমিক ধাপ শেষে রোগীকে মুখে ওষুধ দেওয়া হয়। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই অবস্থায় সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময়মতো চিকিৎসা রোগী এবং গর্ভের শিশুর জন্য নিরাপদ।

 

সূত্রঃ https://www.facebook.com/medivoicebd/videos/1627329047901917/

রিফাত

×