ছবিঃ সংগৃহীত
স্ট্রোক থেকে সেরে ওঠার সময় এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রক্রিয়া ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। এটি স্ট্রোকের ধরন, ক্ষতির মাত্রা, এবং রোগীর চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ওপর নির্ভর করে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. কে. এম. আতিকুল ইসলাম বলেন, কত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, তার উপর নির্ভর করে কত সময় দরকার ঠিক হতে। কোন ধরনের স্ট্রোক হয়েছে তা আগে জেনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিছু স্ট্রোকে রক্তনালী বেশি ব্লক হয়ে যায়, মস্তিষ্কের অনেক বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কিছু ক্ষেত্রে রক্তনালী কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ব্রেনে প্রভাব কম পড়ে। রোগীর বয়সও বিবেচনায় থাকে এক্ষেত্রে। অল্পবয়সীদের ক্ষতি সাধারণত কম হয়, আর বয়স্কদের ক্ষতি বেশি হয়। সাথে অন্য রোগ থাকলে সেগুলোও প্রভাব ফেলে। স্ট্রোকের আধুনিক প্রযুক্তি এখন আমাদের দেশে আছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্সে। কোন ধরনের স্ট্রোক করেছে এটা এখন আমরা সহজেই জানতে পারি৷
রক্ত চলাচল বন্ধের জন্য যে স্ট্রোক হয়, রোগী যদি ৪ ঘন্টার ভিতরে আসতে পারে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা চালু করে সুস্থ করা সম্ভব। আমরা এমনও দেখেছি রোগী এক পাশে প্যারালাইজড হয়ে এসেছে, কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে কিন্ত সঠিক সময়ে আসার কারণে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমরা সেই জমাট রক্ত সচল করতে পেরেছি। সেই রোগী সুস্থ হয়ে গেছে যা অবিশ্বাস্য। এটা সম্ভব হয়েছে সচেতনতা, সঠিক সময়ে আসা ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের জন্য।
অনেক সময় রোগীর স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, যার জন্য ক্ষতি বেশি হয়। আমাদের দেশের হাসপাতাল গুলোতে আছে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা।
রিফাত