গবেষণা বলছে ,রোজা রাখলে গ্যাস্ট্রিকের উপকার হয়।ডক্টর জাহাঙ্গীর কবির বলেন,হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরির কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার তৈরী হয়। এই হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি অ্যাসিডিক পরিবেশে ভালো থাকতে পারেনা। তাই সে এসিডিক পরিবেশে যখন বড় হয় তার নিজের চতুর্দিকে একটি বলয় তৈরি করে এসিডকে নিউট্রালাইজড করে।এটা ঘটে আমাদের পকস্থলির ভেতরে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ধ্বংস করা সম্ভব রোজার মাধ্যমে। রোজা রাখলে এটা বেশিক্ষণ টিকতে পারে না।খালিপেটে থাকলে এই হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ধ্বংস হয়ে যায়।ফলস্বরূপ, রোজা শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক উন্নতির মাধ্যম নয়, বরং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার বিরুদ্ধে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
রোজা রাখার ফলে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হওয়া কমে যায়, যা হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সময় খাদ্য গ্রহণ না করার কারণে পেট পরিষ্কার থাকে, এবং এই ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। এটি শুধুমাত্র গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান নয়, বরং পাকস্থলীর সুস্থতার জন্য একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজা রাখার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়, যা বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। তাই রোজা শুধু আধ্যাত্মিক শুদ্ধি নয়, শারীরিক সুস্থতার জন্যও অত্যন্ত কার্যকর। এটি প্রমাণিত যে, সঠিক নিয়মে রোজা রাখলে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আমরা যে খাবারই গ্রহণ করি তার সাথে এসিড ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ।এই ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করার জন্য শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি তুই এসিড আমাদেরকে সহযোগিতা করে। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে এই প্রাকৃতিক এসিড গুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যে কারণে খাবারের সাথে বা বাহির থেকে যে ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে সেগুলোকে ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না।অথবা এসিডের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়া গুলো বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ পায়।
রোজায় নিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়ার ফলে অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। তাই সঠিকভাবে রোজা রাখলে এবং সঠিক খাবার দিয়ে সাহরি ও ইফতার করলে রোজা বরং আলসারের উপশম করে, অনেক সময় আলসার ভালো হয়ে যায়।
সূত্র:https://tinyurl.com/49aknrfw
আফরোজা