ছবি: সংগৃহীত
অ্যালার্জি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণ থেকে হতে পারে, যেমন ধুলাবালি, নির্দিষ্ট খাবার বা মৌসুমি পরিবর্তন। তবে, কিছু খাবারের মধ্যে এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে যা অ্যালার্জি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
মধু
প্রদাহরোধী গুণাগুণসম্পন্ন মধু অ্যালার্জি নিরসনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত এক চা চামচ মধু খেলে কাশি বা মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে আরাম পাওয়া যায়।
আদা
‘কুয়ের্সেটিন’ নামক একটি উপাদান সমৃদ্ধ আদা অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকর। এটি শরীরের প্রদাহ কমিয়ে অ্যালার্জি উপসর্গ হ্রাস করে। জাপানের ‘চুবু ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোর কার্যকারিতা কমায়। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা মোকাবিলায় এটি বিশেষ সহায়ক।
স্যামন মাছ
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ স্যামন মাছ প্রদাহ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। যারা অ্যালার্জি-জনিত চর্মরোগ বা হাঁপানিতে ভুগছেন, তাদের জন্য স্যামন মাছের উপকারিতা প্রমাণিত।
আনারস
আনারসে উপস্থিত ‘ব্রোমেলিন’ নামক প্রাকৃতিক এঞ্জাইম অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়ক। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা কমিয়ে আরাম দেয়। আনারসের উচ্চ ভিটামিন সি কনটেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ হলো ‘কুয়ের্সেটিন’-এর অন্যতম সেরা উৎস। এটি শরীরে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোর কার্যকারিতা কমায় এবং অ্যালার্জি উপশমে সাহায্য করে। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে এর গুণাগুণ আরও বেশি পাওয়া যায়।
হলুদ
কারকুমিন নামক শক্তিশালী উদ্ভিজ্জ উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকর। এটি প্রদাহ হ্রাস করে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে মৌসুমি সর্দি-কাশি এবং অ্যালার্জি কমে।
টক ফল
কমলা, জাম্বুরা, লেবুর মতো সিট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। এ উপাদানটি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যক্রম বাড়িয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। এ ধরনের ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে সর্দি-কাশি, জ্বর এবং মৌসুমি অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেক কমে।
সঠিক খাবারের চয়ন অ্যালার্জি প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলে অ্যালার্জি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
নাহিদা