ত্বকের অন্যতম প্রধান সমস্যা ব্রণ। এ সমস্যায় অনেকে ভুগে থাকলেও তারা জানেন না, ত্বকে ব্রণ ওঠার মূল কারণ। তাই যদি ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে, মুখে ব্রণ ওঠার প্রকৃত কারণ।
সৌন্দর্য পুরোটাই নির্ভর করে মুখের দাগহীন ত্বকে। কিন্তু এই দাগহীন ত্বক অনেকটাই অসম্ভব হয়ে ওঠে ব্রণের কারণে। মুখে ব্রণের সমস্যা মূলত সৌন্দর্যের প্রধান শত্রু।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়ঃসন্ধিতে হরমোনের তারতম্য তৈলগ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে শরীরে বেশি হলে, ত্বকে সেবাম কোষগুলো বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। আর তা থেকেই ত্বকে সৃষ্টি হতে পারে ব্রণের।
কৈশোরে অনেক মেয়েদের হরমোনের সমস্যার কারণে ব্রণ, চুল পড়া, মুখে অবাঞ্ছিত লোম, শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিয়মিত মাসিক এসব সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবকদের অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ব্রণের আরও অনেক কারণ রয়েছে। মুখে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার, বংশগত কিংবা পরিবেশগত কারণেও ব্রণ হয়ে থাকে।
মূলত ঢ়ৎড়ঢ়রড়হরনধপঃবৎরঁস ধপহব নামের একটি ব্যাকটেরিয়া ব্রণের জন্য দায়ী। এছাড়াও কিছু ওষুধ যেমন কর্টিকোস্টেরয়েড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, লিথিনামও ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুতই ব্রণের চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। এক্ষেত্রে ব্রণের ধরন অনুযায়ী মুখে ব্রণনাশক লোশন, ক্রিম, অথবা মুখে খাওয়ার ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। সেই সঙ্গে ব্রণের সমস্যা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকে যেহেতু ব্রণ বেশি হয় তাই তাদের একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ ও ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তবে ব্রণের চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে ত্বকে যেন এ সমস্যা তৈরি না হয় সেজন্য লাইফস্টাইলেও পরিবর্তনের দরকার।
এরজন্য সবাইকে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে তা হলো মুখমণ্ডল আলতো চাপে মোছা, অতিক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করা, রাত না জাগা ইত্যাদি।
ব্রণ কমাতে খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। প্রচুর পানি পান করলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে যায় প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি খাদ্যাভাসে থাকতে হবে শাকসবজি, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে তৈলাক্ত খাবারও।
ত্বকের ব্রণ রুখতে হাতের নখ ছোট রাখার পাশাপাশি রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ত্বকে ব্যবহারের জন্য প্রসাধনী যেমন লোশন বা মেকআপ ইত্যাদি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নন-কমেডো জেনিক প্রসাধনী এক্ষেত্রে বেছে নিলে এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
লেখক : অধ্যাপক, চম যৌন এলাজি ও চুল রোগ বিশেষজ্ঞ, চেম্বার ডা. কামাল হেয়ার স্কিন সেন্টার ১৪৫ ইঞও সেন্টার, গ্রীন রোড ফার্মগেট ঢাকা
০১৭১১৪৪০৫৫৮