ছবিঃ সংগৃহীত
মেয়েদের সতীচ্ছেদ পর্দা নিয়ে ফেসবুকে অনেক কিছু দেখা যায়। একটি পোস্টে বলা হয়েছে, মেয়েদের সতীচ্ছেদ ৯৯% সময়ে সহবাসের কারণে হয়। পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বাসর রাতে যদি দেখেন রক্তপাত হয়নি তাহলে সেই নারী পূর্বে সহবাস করেছে।
তাসনিম জারা এই সম্পর্কে বলেছে, একজন মেয়ে কুমারী কিনা তা বুঝার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে ৩ টি পদ্ধতি প্রচলিত ছিল, এখনো কিছু জায়গায় আছে।
১. দুই আঙুলের পরীক্ষাঃ দুই আঙুলের পরীক্ষা (Two-Finger Test) হল এক বিতর্কিত এবং অবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা যা যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। এই পরীক্ষায় চিকিৎসক নারীর যোনি পথের ভেতরে দুই আঙুল প্রবেশ করিয়ে যোনির পেশির অবস্থা এবং "কুমারীত্ব" নির্ধারণের চেষ্টা করেন।
২. সতীচ্ছদ পর্দা পরীক্ষাঃ এই পদ্ধতিতে আগের মতো আঙুল প্রবেশ করানো হয় না। চোখ দিয়ে দেখে চেষ্টা করা হয় যোনি পথের আকৃতি কেমন আছে।
৩. প্রথম সহবাসে রক্ত পরীক্ষাঃ এই পদ্ধতিতে বাসর রাতে সাদা চাঁদর বিছিয়ে দেখা হয় রক্ত বের হয় নাকি।
এই পদ্ধতি গুলোর সত্যতা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কতটুকু আছেঃ
১. প্রথম সহবাসে রক্ত পরীক্ষাঃ ১০০ জন নারীর উপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ৪৪ জনেরই প্রথম সহবাসে রক্তপাত হয়নি। প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি নারীর সংখ্যা কম না। এমনকি ৩২ জনের কোন ব্যথা হয়নি। রক্তপাত হওয়া এবং না হওয়া দুটোই স্বাভাবিক।
২. সতীচ্ছদ পর্দা পরীক্ষাঃ অনেকেই মনে করে পর্দার আকৃতি দেখলেই বোঝা যায় সহবাস করেছে নাকি। আমেরিকায় ৩৬ জন গর্ভবতী নারীর উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের যোনি পথ দেখে ডাক্তার বুঝার চেষ্টা করে তারা সহবাস করেছে নাকি। কিন্ত মাত্র ২ জনের ক্ষেত্রে ডাক্তার বুঝতে পেরেছে তারা আগে সহবাস করেছে।
৩. দুই আঙুলের পরীক্ষাঃ এই পদ্ধতি কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়া বিভিন্ন দেশে চালু ছিল। তবে বিভিন্ন দেশে বন্ধ হয়েছে এটি।
তাসনিম জারা বলেন, কুমারী মেয়ে বুঝার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই।
রিফাত