ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

নীরব ঘাতক থাইরয়েড, ঝুঁকি বেশি যাদের! 

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

নীরব ঘাতক থাইরয়েড, ঝুঁকি বেশি যাদের! 

সংগৃহীত ছবি

থাইরয়েড সমস্যা যেন মহামারি রূপ ধারণ করছে। নীরব ঘাতক থাইরয়েড এর কারণে মানসিক সমস্যা, ঘুম না আসা, হাত-পা জ্বালাপোড়া করার মতো নানান সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও হঠাৎ মুটিয়ে যাওয়া, মানসিক অবসাদ, ঘুমে শ্বাস বন্ধ হওয়া, গলা ফুলে যাওয়া, দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, বমি বমি ভা  ইত্যাদি নানান জটিলতা দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন বেড়ে বা কমে যাওয়ার ফলে এ সমস্যা হয়। 

শ্বাসনালীর চারপাশে প্রজাপতি আকৃতির অঙ্গকে থাইরয়েড বলে। এখান থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরিত হয়। থাইরয়েডজনিত দুই ধরনের জটিলতা দেখা দেয়।

হাইপো থাইরয়েডিজমে দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ, ওজন বেড়ে যাওয়া, ঘুম ঘুম লাগা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া, মাসিকের ধরনে পরিবর্তন, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। হাইপার থাইরয়েডিজমে উদ্বিগ্নতা, দুঃশ্চিন্তা, ওজন কমে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া, গরম লাগা, শরীর কাঁপা, বন্ধ্যাত্ব এবং মাসিকের ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে।  

দেশে ৪ কোটির বেশি মানুষ থাইরয়েডজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। তবে এ ব্যাপারে সচেতনতা একদমই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬০ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত না হওয়ায় নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে এই রোগ। যেসব মায়েরা কনসিভ করতে পারেনা, করলেও নষ্ট হয়ে যায় বা বাচ্চা বিকলাঙ্গ হচ্ছে এগুলো সাধারণত হাইপো থাইরয়েডিজম এর জন্য হয়ে থাকে। এই রোগে ঝুঁকি বেশি নারীদের। তাই গর্ভধারণের আগে পরীক্ষা করতে হবে থাইরয়েড আছে কিনা। 

থাইরয়েডকে অসংক্রমক রোগের তালিকায় যুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর কারণ, প্রতিকার ও প্রভাব নিয়ে বিস্তর গবেষণা দরকার বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
 

JF

×