ছবি: সংগৃহীত
ওভার থিংকিং নিয়ে যন্ত্রণায় থাকি আমরা অনেকেই। এটিকে স্বাভাবিক বলে ধারণা করে থাকি এবং জীবন যাপন করতে থাকে। আপনি কি জানেন এটি দীর্ঘস্থায়ী একটি সমস্যার কারণ হতে পারে। এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ওভার থিংকিং থেকে রক্ষা পেতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা কুশাল।
আসুন জেনে নেয়া যাক
ডা. কুশাল বলছেন, কোন কোন সময় স্বাভাবিকভাবেই আমরা ওভার থিংক করে থাকি কিন্তু অনেক সময় সেটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এবং আমরা নেগেটিভ দিকে এগোতে থাকি সেই চিন্তা ভাবনাগুলো করে। অনেক সময় মানসিক রোগের কারণে ওভার থিংকিং হয়ে থাকে।
ওভারথিংকিং কেন হয়?
ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা– অনেকেই ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে অযথা চিন্তা করেন, যা উদ্বেগ বাড়ায়।
অতীতের ঘটনা নিয়ে অনুশোচনা– কেউ কেউ অতীতের ভুলগুলো নিয়ে বেশি ভাবেন, যা হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নেতিবাচক মানসিকতা– কিছু মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু নেতিবাচকভাবে ভাবেন, যা ওভারথিংকিংয়ের অন্যতম কারণ।
আত্মবিশ্বাসের অভাব– নিজেকে নিয়ে সন্দেহ থাকলে, যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতেও বেশি চিন্তা করতে হয়।
পারফেকশনিজম- সবকিছু নিখুঁত হতে হবে—এমন মানসিকতা থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত তথ্য– ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যা এক বিষয় নিয়ে বেশি ভাবতে বাধ্য করে।
যেভাবে রক্ষা পাবেন-
১. সচেতন হোন
আপনি যখন বুঝতে পারবেন যে অপ্রয়োজনীয় চিন্তাগুলো বারবার মাথায় আসছে, তখন এটি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। নিজের ভাবনাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করুন এবং অপ্রয়োজনীয় চিন্তা এলে সেটিকে থামানোর চেষ্টা করুন।
২. বর্তমান মুহূর্তে থাকুন
ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ওভারথিংকিং কমাতে সাহায্য করে। বর্তমান কাজ বা অনুভূতিতে মনোযোগ দিন, অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে কম ভাবার চেষ্টা করুন।
৩. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ান
অল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস করুন। সবকিছু নিখুঁত হতে হবে—এই মানসিকতা ত্যাগ করুন। ঝুঁকি নেওয়ার ভয় কাটিয়ে তুলুন।
৪. অতিরিক্ত তথ্য গ্রহণ বন্ধ করুন
কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কম সময় দিন এবং নিজেকে তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. লিখে ফেলুন (জার্নালিং করুন)
আপনার ভাবনাগুলো একটি ডায়েরিতে লিখুন, এতে মনের চাপ কমবে। যখনই বেশি চিন্তা আসবে, সেটি লিখে রেখে দিন, এতে তা মাথা থেকে সরে যাবে।
৬. ব্যস্ত থাকুন
নতুন কিছু শিখুন, যেমন—গান শোনা, বই পড়া, ব্যায়াম করা বা পছন্দের কাজ করা। শরীরচর্চা ও শারীরিক ব্যস্ততা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭. পেশাদার সাহায্য নিন
যদি ওভারথিংকিং খুব বেশি হয়ে যায় এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে, তাহলে মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
ওভারথিংকিং বন্ধ করা সম্ভব, তবে এটি ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ওভারথিংকিং কাটিয়ে উঠুন এবং জীবনকে উপভোগ করুন।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/watch/?v=1146365459938768&rdid=EAbJ6jcztcrf2BeG
শিলা ইসলাম