সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের খাবারের সময় ও ধরণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে। সন্ধ্যার দিকে হালকা কিছু খেয়ে যারা রাতে আর কিছু খান না এবং যারা দেরিতে ভারী খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন—এই দুই ক্যাটাগরির মানুষের মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য।
যারা সন্ধ্যার দিকে হালকা খাবার খান, যেমন এক বাটি সবজি বা সুপ, সালাদ, ফল, বাদাম বা খেজুর, এবং পাকস্থলির তিনভাগের একভাগ পূর্ণ করেন, তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই কমে। এই অভ্যাস করোনারি হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য হার্টের সমস্যার ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে।
আর যারা সন্ধ্যার চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পরে খাচ্ছে এবং পেট পুরে খাচ্ছে ,বিশেষ করে ভাত জাতীয় খাবার, যাতে কার্বোহাইড্রেট আছে এবং খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাচ্ছে এবং লেট নাইট ঘুমাচ্ছে তাদের হার্টের ডিজিজ অনেক অংশ বেড়ে যাচ্ছে তাদের ওজন প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে এবং তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছে।
এখন যারা ২০-২৫-৩০ বছরের ইয়াং জেনারেশন তাদের পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে সুগার লেভেল ২০ বা ২৫! সাঙ্ঘাতিক ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
তাই,রাতে খেতে হবে সন্ধ্যার দিকে। এটা আমরা অনেকেই মানি না ,খাই ১০ টা বা ১১ টার দিকে এবং খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাই।
তারপর,আমরা খাচ্ছি একদম রিফাইন্ড রাইস যেটা ভয়ঙ্কর খারাপঅ সাদা ভাত- যেখান থেকে ট্রাইগ্লিসারাইড আসে।বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছে ট্রাই গ্লিসারাইড আপনার হার্ট এর ডিসিস বাড়ানোর ক্ষেত্রে সব থেকে বড় নিয়ামক।
আমরা বাঙালিরা আমাদেরকে বলি মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু আমরা সম্প্রতি মাছ খুবই কম খাই। ডঃ বলেন, “আমরা ভাতে ভাতে বাঙালি”। এই সাদা ভাত আমাদের মেমোরি ফাংশন কে অনেক দুর্বল করে দিচ্ছে, যে কারণে আমরা এখন কিছু মনে রাখতে পারি না ।
যারা ছাত্র এবং বয়স্ক সকলের ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে তিনবেলা কখনো ভাত খাবেন না ,খেলেও অল্প পরিমাণে খাবেন এবং সেটা সন্ধ্যার দিকে।
সাদা ভাত গ্রহণ করার কারণে আমাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে।
যারা দীর্ঘজীবন পেতে চান তারা কখনো রাতে ভাত খাবেন না । জাপানিরা খুব অল্প পরিমাণে ভাত খায় যে কারণে তারা ৮০-৮৫-৯০ বছর করে বাঁচে।
এজন্য সুস্থ থাকতে হলে অল্প পরিমাণ খেতে হবে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর পর রাতের খাবারটা খেয়ে নিতে হবে এবং খাবারটা খেতে হবে পাকস্থলির তিন ভাগের এক ভাগ। অল্প খাবারের আধা ঘন্টা পর পানি খেতে হবে এবং বাকি এক ভাগ পাকস্থলী খালি রাখতে হবে ।
এই নিয়মগুলো যদি আমরা মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবো। নিয়ম মেনে চলাই দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি।
আজই সিদ্ধান্ত নিন—লাইফস্টাইল বদলান, সুস্থ বার্ধক্য নিশ্চিত করুন!
আফরোজা