ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১

শরীরে সোডিয়াম কমে গেলে কী করবেন?

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

শরীরে সোডিয়াম কমে গেলে কী করবেন?

শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোডিয়াম এক ধরনের ইলেকট্রোলাইট যা শরীরের পানির ভারসাম্য, স্নায়ুর কার্যকলাপ এবং পেশির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

সোডিয়াম কমে যাওয়ার কারণ
অতিরিক্ত ঘাম: গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে সোডিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
ডায়রিয়া ও বমি: দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীর থেকে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়।
কিডনি সমস্যা: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
অতিরিক্ত পানি পান: প্রয়োজনের বেশি পানি পান করলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।
বিভিন্ন ওষুধ: ডায়ুরেটিক (প্রস্রাবের ওষুধ), অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা ব্যথানাশক কিছু ওষুধ সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

সোডিয়াম কমে যাওয়ার লক্ষণ
দুর্বলতা ও ক্লান্তি
মাথা ঘোরা
পেশিতে খিঁচুনি
বমি ভাব
স্নায়বিক সমস্যা, যেমন মানসিক বিভ্রান্তি বা অবসাদ

কি করবেন?
ডাক্তারি পরামর্শ নিন: যদি মনে হয় সোডিয়াম কমে গেছে, তবে তৎক্ষণাৎ একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্যালাইন বা ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস পান করুন: লবণ ও ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা দ্রুত বাড়াতে সহায়ক।
লবণাক্ত খাবার খান: ডাক্তারের পরামর্শে স্যুপ, লবণযুক্ত খাবার বা স্ন্যাকস খেতে পারেন।
জরুরি ক্ষেত্রে হাসপাতালে যান: সোডিয়ামের মাত্রা অতিরিক্ত কমে গেলে স্যালাইনের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
 

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
পর্যাপ্ত পানি পান করুন, তবে অতিরিক্ত নয়।
ভারী ব্যায়াম বা ঘাম ঝরানো কার্যকলাপের পর ইলেকট্রোলাইট পানীয় গ্রহণ করুন।
ডায়রিয়া বা বমি হলে স্যালাইন খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ডাক্তারের নির্দেশনা ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
সোডিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

রাজু

×