ছবিঃ সংগৃহীত
বেশিরভাগ বাবা-মায়ের সাধারণ অভ্যাস, বাচ্চার প্লেটে শেষের খাবারটুকু খাওয়ানোর জন্য নানাভাবে কৌশল অবলম্বন করা। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই অভ্যাস শিশুর উপর মানসিক ও শারীরিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জোর করে খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার মধ্যে খাবারের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়। অনেকে এই চাপের কারণে বমি করে বা কান্নাকাটি শুরু করে। এটি শিশুদের পরবর্তী সময়ে খাবার গ্রহণে আরও অনীহা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
পুষ্টিবিদরা জানান, বাচ্চার পাকস্থলী বড়দের মতো নয়। তাই তাদের খাবার মেপে দিতে হবে। বাটিভর্তি খাবার দিয়ে খাওয়ানোর চেয়ে ছোট পরিমাণে মজাদার প্লেটিং করে খাওয়ানোই উত্তম। খাবারকে ভালোবাসা এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে, চাপ প্রয়োগ করে নয়।
বাবা-মায়েদের প্রতি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর খাবারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলুন। খাবারের পরিমাণ নয়, বরং গুণগত মান ও উপস্থাপনায় গুরুত্ব দিন। শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য এটি অধিক কার্যকর।
মারিয়া