ছবি: সংগৃহীত
নরমাল ডেলিভারি এবং সিজারিয়ান সেকশনের মধ্যে শুধু মায়ের অভিজ্ঞতায় নয়, শিশুর স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশেও পার্থক্য থাকতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নরমাল ডেলিভারির সময় শিশুকে মায়ের প্রসবপথ দিয়ে বের হতে হয়, যা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার সময় শিশুর দেহে মায়ের ভ্যাজাইনাল ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে, যা পরবর্তীতে শিশুর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুরা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স, অ্যাজমা ও ইনফেকশনের ঝুঁকি থেকে অনেকাংশে সুরক্ষিত থাকে। মায়ের প্রসবপথের ব্যাকটেরিয়া শিশুর শরীরে একটি প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে, যা ভবিষ্যতে নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অন্যদিকে, সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুদের এই প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া পাওয়ার সুযোগ কম থাকে। ফলে তাদের ইমিউন সিস্টেম তুলনামূলক দুর্বল হতে পারে। এছাড়া নরমাল ডেলিভারির সময় শিশুকে স্বাভাবিকভাবে যে শারীরিক চাপ মোকাবিলা করতে হয়, তা ভবিষ্যতে মানসিক ও শারীরিক স্ট্রেস মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, নরমাল ডেলিভারি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হওয়ায় মায়ের শরীরেও তা কম ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তবে যেকোনো ডেলিভারির ক্ষেত্রে মায়ের ও শিশুর সুস্থতার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শের মাধ্যমে দুই প্রক্রিয়াতেই সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।
মারিয়া