সংগৃহীত ছবি
খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে মানুষ চারটি বড় ভুল করে থাকে। যেগুলো মেনে চললে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
- খাদ্য নির্বাচন ঠিক নেই: যেটা না খাওয়া শরীরের জন্য ভালো সেটা আমরা বেশি করে খাই, আর যেটা খাওয়া দরকার সেটা খাচ্ছি না। সৃষ্টিকর্তা ছয় প্রকার খাদ্য তৈরি করেছেন- টক, ঝাল, মিষ্টি, নোনতা, তিতা ও কষা। সবগুলোই সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। মিষ্টি আমরা বেশি খাই, তিতা খাবারে আমাদের অনীহা। কষা খাবার অনেকে চিনিই না। আমলকি, কাঁচা কলা এ ধরনের খাবার। যদিও আমলকি একের ভিতর ছয়।
- খাদ্যের পরিমাণ ঠিক নেই: রাসুল (সা.) বলেছেন, পাকস্থলীতে তিন ভাগে খাও। এক ভাগ খাবার, এক ভাগ পানি এবং এক ভাগ খালি রাখো। অনেকে চার ভাগ খায়, তিন ভাগ পাকস্থলী এবং একভাগ গলা পর্যন্ত। খাবার হজম হওয়ার জন্য কোন খালি জায়গা রাখে না।
- খাবারের সময় ঠিক নেই: কখন খাবে, কখন খাবে না এ ধারণা অনেকের নেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে খাবার না খাওয়া উত্তম। প্রাণীদের মধ্যে যারা দিবাচর তারা রাতে খায় না, যারা নিশাচর তারা দিনে খায় না। মানুষ একমাত্র প্রাণী যারা দিন রাত সবসময় খেতে থাকে। একটা প্রবাদ আছে- সকালে খাও রাজার মতো, দুপুরে খাও প্রজার মতো, রাতে খাও ভিখারির মতো। আমরা ঠিক উল্টোটা করি। সকালে খাই না, দুপুরে বাইরে উল্টাপাল্টা খাই, রাতে ভরপেট খেয়ে ঘুমাই।
- খাদ্য গ্রহণের ধরন ঠিক নেই: খাবার সামনে আসলে প্রথমে খাবাবের দিকে তাকিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে। এতে দুটো লাভ হবে। সৃষ্টিকর্তা শুকরিয়া আদায়কারীকে পছন্দ করেন, এতে রিজিকে বরকত বাড়ে। দ্বিতীয়ত, যখন চোখ খাবার দেখছে সেই ছবি সে ব্রেইনকে পাঠায়, ব্রেইন এ খাবার হজমের উপযোগী যে এনজাইম দরকার সেটা পেটে রেডি করে।
JF