ছবি : সংগৃহীত
মাছ আমাদের খাদ্য তালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সব মাছ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। বাজারে কিছু মাছ পাওয়া যায়, যেগুলোতে ভেজাল বা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হতে পারে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, বাজারে যাওয়ার সময় কিছু মাছ কেনা এড়িয়ে চলা উচিত।
যে ৫ মাছ কখনোই কিনবেন না:
১। টুনা মাছ:
টুনা মাছ দীর্ঘ জীবনকাল নিয়ে বড় হয় এবং সমুদ্রের গভীরে বাস করে। ফলে এটি অন্য ছোট মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় মাছের শরীরে পারদের মাত্রা জমা হয়। বিশেষত বড় আকৃতির টুনা মাছ যেমন ব্লু ফিন এবং ইয়েলো ফিন টুনার মধ্যে পারদের পরিমাণ বেশি।
২। বড় মাগুর মাছ:
কৃত্রিমভাবে চাষ করা মাগুর মাছকে দ্রুত বড় করতে রাসায়নিক ও হরমোন ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। এসব রাসায়নিক মাছের শরীরে জমা হয়, যা পরে মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সস্তা ও নিম্নমানের পোলট্রি বর্জ্য বা পশুর বিষ্ঠা ব্যবহার করা হয় খাবার হিসেবে, যা মাছের মধ্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।
৩। পাঙ্গাস বা তেলাপিয়া (নদী বা খোলা উৎস ছাড়া):
কৃত্রিম পদ্ধতিতে চাষ করা পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পানি ও খাবার ব্যবহার করে উৎপাদন করা হয়। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও জীবাণু থাকতে পারে।
৪। বেশি বড় আকারের রুই, কাতলা:
অতিরিক্ত বড় মাছ অনেক সময় ভারী ধাতু যেমন পারদ (মার্কারি) ধারণ করতে পারে। এটি মানবদেহে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৫। অজানা উৎসের সামুদ্রিক মাছ:
কিছু সামুদ্রিক মাছ যেমন হাঙ্গর বা বড় টুনা মাছ, পারদ ও অন্যান্য দূষক পদার্থ বেশি ধারণ করতে পারে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
কীভাবে নিরাপদ মাছ চেনা যায়?
মাছের গন্ধ: টাটকা মাছ থেকে হালকা সামুদ্রিক গন্ধ আসবে, পচা বা রাসায়নিকযুক্ত গন্ধ নয়।
মাছের চোখ: টাটকা মাছের চোখ পরিষ্কার ও উজ্জ্বল থাকবে।
মাছের শরীর: টাটকা মাছের শরীর চাপ দিলে সহজে ঢেবে যাবে না।
বাজারে মাছ কেনার সময় সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। ফরমালিন বা রাসায়নিকযুক্ত মাছ কেনা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। টাটকা, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে মাছ কিনে পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করুন।
শিলা ইসলাম