গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সঠিকভাবে পরিকল্পিত ব্যায়াম শুধু মায়ের শক্তি বৃদ্ধি করে না, বরং অনাগত শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
শারীরিক অসুবিধা কমানো: গর্ভাবস্থায় অনেক মা কোমর ব্যথা, পায়ের ফোলা ও গ্যাসের মতো সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত ব্যায়াম এই ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ানো: ব্যায়াম মায়ের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মাংসপেশির শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।
মনোভাব উন্নত করা: গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত কারণে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং মায়ের মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বাড়ানো: ব্যায়ামের ফলে শরীর ফিট থাকে এবং এটি স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থেকে রক্ষা পেতে ব্যায়াম সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস: যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্যায়াম নিরাপদ। উদাহরণস্বরূপ:
- হাঁটাহাঁটি
- হালকা যোগব্যায়াম
- সাঁতার
- পায়ে হালকা স্ট্রেচিং
সতর্কতা:
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম শুরু করবেন না।
অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
পানিশূন্যতা এড়াতে ব্যায়ামের আগে ও পরে পানি পান করুন।
গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম সঠিকভাবে পরিচালনা করলে এটি মা ও শিশুর জন্য উপকারী হতে পারে। তবে সবকিছুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রাজু