ছবি: সংগৃহীত
শীতের সুপরিচিত ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি শাক হলো সরিষা শাক। গবেষকদের মতে, পালং শাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ এবং কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায় সরিষা শাকে। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরিষা শাকে থাকা লুটেইন ও জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের টিস্যুকে সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো নিউরোনগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে, যা মানসিক স্থিতিশীলতা ও স্মৃতিশক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
সরিষা শাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও এ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। ভিটামিন সি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
সরিষা শাকে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে থাকা পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
হাড়ের স্বাস্থ্যে সহায়ক
ভিটামিন কে-এর অন্যতম উৎস সরিষা শাক, যা হাড় সুস্থ রাখতে এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
দেহের টক্সিন মুক্ত করে
সরিষা শাকে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দ্রুত বের করে দেয়, ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।
ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা
সরিষা শাকে গ্লুকোসিনোলেটস নামক উপাদান রয়েছে, যা ক্যানসার কোষের সাথে লড়াই করে এবং টিউমার গঠন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
স্বাদ ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সরিষা শাক প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর ও মন দুটোই থাকবে সুস্থ। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি একটি অনন্য প্রাকৃতিক উৎস।
তাবিব