অ্যাজমা, যা অনেকেই বড়দের রোগ মনে করেন, তা শিশুদের মধ্যেও সমানভাবে দেখা যায়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে যত মানুষ অ্যাজমায় ভুগছে, তার প্রায় সমান সংখ্যক শিশু এই সমস্যায় আক্রান্ত। এটি শিশুদের জন্য একটি গুরুতর ফুসফুসজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সঠিক সময়ে প্রতিরোধ এবং সচেতনতা না নিলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
অ্যাজমার কারণ
শিশুদের অ্যাজমার জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
*পরিবেশগত প্রভাব: ধুলোবালি, গাড়ির ধোঁয়া, এবং বায়ুদূষণ।
*অ্যালার্জি: ফুলের রেণু, ঘরের ধুলা বা পশুর লোম।
*জেনেটিক প্রভাব: পরিবারের অন্য সদস্যদের অ্যাজমা থাকলে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
শিশুদের অ্যাজমা থেকে রক্ষা করতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। ওষুধের পাশাপাশি নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি:
1. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: শিশুদের খেলাধুলার পর নিয়মিত হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করান।
2. মাস্ক পরিধান: স্কুলে যাওয়া বা বাইরের ধুলোবালিময় পরিবেশে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করুন।
3. পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ: শিশুর আশেপাশের ধুলো ও অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন।
4. পর্যাপ্ত চিকিৎসা: শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনহেলার বা প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করুন।
শিশুদের ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই প্রতিদিনের জীবনে সামান্য পরিবর্তন এনে শিশুদের এই মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। নিয়মিত চিকিৎসা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পরিবেশগত সচেতনতা বাড়ানোই পারে অ্যাজমার মতো রোগ থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে।
রিফাত