জ্বর হলে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হবে রোগীর জ্বর কমানোর ব্যবস্থা করা। এজন্য নির্ধারিত মাত্রায় প্যারাসিটামল দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, জ্বর থাকা অবস্থায় রোগীর দৈনন্দিন কার্যক্রম যেমন গোসল করা, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করার কোনো প্রয়োজন নেই। অনেকেই জ্বর হলে গোসল বন্ধ করে দেন, যা সঠিক নয়। বরং কুসুম গরম পানিতে একটি গামছা ভিজিয়ে রোগীর মাথা এবং পুরো শরীর মুছে দিলে ঘামগ্রন্থি পরিষ্কার হয় এবং শরীর থেকে তাপমাত্রা বের হতে সাহায্য করে।
জ্বরের সময় শিশুরা সাধারণত কম খেতে চায়। এই সময় আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের পর্যাপ্ত তরল জাতীয় খাবার যেমন পানি, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি দেওয়া। এতে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জ্বর ভাইরাসজনিত কারণে হয় এবং তা ১-২ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে, অনেক সময় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে ফেলি, যা ঠিক নয়।
অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে অন্তত ৩-৪ দিন অপেক্ষা করা উচিত। এই সময়ের মধ্যে যদি জ্বর না কমে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো জরুরি। জ্বরের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করার পরই সঠিক চিকিৎসা শুরু করা উচিত। যদি অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়, তখনই তা সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত।
রাজু