ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

চিকিৎসা কলাকৌশলে অনন্য ডা: বিধানচন্দ্র রায়ের কিছু আশ্চর্য ঘটনা!

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

চিকিৎসা কলাকৌশলে অনন্য ডা: বিধানচন্দ্র রায়ের কিছু আশ্চর্য ঘটনা!

ছবিঃ সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলায় ম্যালেরিয়া মহামারির আকার ধারণ করে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সরকার সেনাবাহিনীর জন্য সমস্ত কুইনাইন কিনে নেয়, যার ফলে বাংলায় কুইনাইনের ভয়াবহ সংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে প্রখ্যাত চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায় তার অদম্য মেধা দিয়ে ছাতিম গাছের পাতা থেকে ওষুধ তৈরির পরামর্শ দেন। তার এই পরামর্শের ভিত্তিতেই ম্যালেরিয়ার জন্য নতুন ওষুধ তৈরি করা হয়, যা অনেক রোগীর জীবন বাঁচায়।

অন্যদিকে, বিলেতের মেডিকেল কলেজে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে গিয়ে বিধানচন্দ্র একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার জন্ম দেন। ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি কলেজে সুযোগ পাননি। এমন সময় একটি হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়ে তিনি সুপারের নজরে আসেন। সুপার তাকে একজন রোগীর রোগ নির্ণয়ের চ্যালেঞ্জ দেন। রোগীকে না ছুঁয়েই তিনি শুধু গন্ধের ভিত্তিতে জানান যে রোগীটির চিকেন পক্স হয়েছে। প্রথমে সুপার সন্দিহান থাকলেও একদিন পর রোগীর শরীরে স্পষ্ট চিকেন পক্সের লক্ষণ দেখা দেয়। এর পরেই বিধানচন্দ্রের মেধা প্রশংসিত হয়।

আরেকটি ঘটনায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বাবার এক সহকর্মী দীর্ঘদিন মাথাব্যথায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গিয়েও সমাধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি বিধানচন্দ্রের শরণাপন্ন হন। রোগীর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যে তিনি শোবার সময় উত্তর দিকে মাথা রাখেন। বিধানচন্দ্র বলেন, এর ফলে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাব মাথার উপর পড়ছে। তিনি রোগীকে দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। পরামর্শ মেনে চলার কয়েক দিনের মধ্যেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এই ঘটনাগুলো বিধানচন্দ্র রায়ের চিকিৎসা দক্ষতা ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারার উজ্জ্বল উদাহরণ।

মারিয়া

×