ছবি: সংগৃহীত
ধুমপান মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে, ধুমপান ছাড়ার যাত্রা কঠিন হলেও, বর্তমানে নানা সহজ পদ্ধতি এবং সমর্থন ব্যবস্থা থাকার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ধুমপান ছাড়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং পেশাদার সহায়তা প্রয়োজন। ধুমপান ছাড়ার কিছু সহজ পরামর্শ:
দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রয়োজন:
ধুমপান ছাড়ার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য স্থির করে ধুমপান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
ধীরে ধীরে কমানো:
যারা একসাথে ধুমপান ছেড়ে দিতে চান না, তাদের জন্য একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে ধীরে ধীরে সিগারেটের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা। প্রথমে একবেলা বাদ দিন এরপর দুই, তিন বেলা। এরপর এক, দুই, তিন দিন করে বাদ দিতে হবে। ধীরে ধীরে ধূমপান কমানো প্রক্রিয়া, শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুরক্ষা প্রদান করে।
প্রফেশনাল সাপোর্ট:
চিকিৎসকদের পরামর্শ, কাউন্সেলিং বা টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে ধুমপান ছাড়ার প্রক্রিয়া সহজ করা যেতে পারে। সিগারেট ছাড়ানোর জন্য কিছু মেডিকেল চিকিৎসাও পাওয়া যায়, যেমন নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি।
মনোযোগ বিভ্রান্তি:
ধুমপান যখন অনুভূত হয়, তখন শরীর বা মনকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে মনোযোগ বিভ্রান্তি একটি কার্যকরী উপায়। বই পড়া, হাঁটাহাঁটি করা বা কোনো শখে মনোযোগ দেওয়া সহজ উপায় হতে পারে।
পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন:
ধুমপান ছাড়ার যাত্রায় কাছের মানুষদের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার এবং বন্ধুদের সহানুভূতি ও উৎসাহ ধুমপান ছাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
ব্যায়াম:
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম ধুমপান ছাড়তে সাহায্য করে। এটি শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে এবং সিগারেটের প্রতি চাহিদা কমায়।
সুগন্ধি এবং প্রাকৃতিক উপায়:
কিছু প্রাকৃতিক উপায় যেমন আদা, মধু বা গাঢ় লেবু পানীয় খাওয়ার মাধ্যমে ধুমপান ত্যাগ করার প্রচেষ্টা করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক মনোভাব এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে ধুমপান ছাড়ার পদ্ধতি সহজতর হতে পারে। ধুমপান ছেড়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করুন, আর সুস্থ, সুখী ভবিষ্যতের দিকে এক পদক্ষেপ এগিয়ে যান।
শিলা ইসলাম