ছবি : সংগৃহীত
আপনার হার্ট অ্যাটাকের ৩০-৪০ বছর আগে বলা সম্ভব, আপনার ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হবে। যখন দেখে যে আমার ব্লক এতটা, তখনই দেখবেন আর তাকে গরু খাওয়াইতে পারতেছেন না, এবং যতদিন আপনি মাসেলকে পাম্প করতে পারছেন, বিল্ড করতে পারছেন, ততদিন আপনি যৌবন, চির যৌবন। আপনার বয়স ১০০ কিন্তু আপনার মাসেল পাম্প করে না, স্লোগান হচ্ছে জানি কিন্তু মানি না।
মানি না, তার তিনটা প্রধান কারণ, খুব সহজ ভাষায় যদি বলি শুধু ডায়াবেটিক না, বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে একেবারে একটা মানুষের ফিট থাকার বিষয়, ৬০-৭০ টা রোগের কথা এবং ফিট থাকার বিষয়ে একবারে উত্তর দিচ্ছি।
একটা লোক যদি আল্লাহর দেওয়া প্রাকৃতিক খাবার পরিমিত আহার করে, এবং যদি সে রেগুলার একটু এক্সারসাইজ করে, এবং যদি সে রোজা রাখে, রমজানের ৩০ টা, সপ্তাহে দুটো, অন্যান্য সময় নফল রোজা, মাসের চাঁদের তিনটা রোজা রেগুলার রাখে, সে যদি তাহাজ্জুদ পড়ে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে যদি পড়ে, এতে সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক থাকে।
তারপর হচ্ছে সে নিজেকে একটা কোয়ালিটি টাইম দিচ্ছে, নিজেকে নিয়ে ভাবছে, আর্লি ঘুমাতে যাচ্ছে, ভোরে উঠছে, প্রকৃতির মাঝে মাঝে-মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে, সূর্যের আলো লাগায় গায়ে, রোদে যায়, ঘাসে হাঁটে, একটু রিলাক্স প্র্যাকটিস করে, মোর দেন এনাফ।
সে কখনো রোগী হবে না, এখন যারা হয়ে গেছে ডায়াবেটিস রোগী, চিনি রোগ ভাত মানে চিনি, রুটি মানে চিনি, ফল মানে চিনি, দুধ মানে চিনি, তো এগুলো বাদ দিয়ে কিছুদিনের জন্য। নট মানে ফর দা এন্টায়ার লাইফ। সারাজীবনের জন্য না, কিছুদিনের জন্য বাদ না দিয়ে, সে সত্যি কোনদিন ভালো হতে পারবে না। তো এজন্য তাকে এটা সাময়িক বিরত থাকতে হবে। কতদিন?
যতদিন কোষ খালি না হচ্ছে। প্রেসার সেম, ফ্যাটি লিভার সেম, লিভারের ফ্যাট জমে গেছে, সেটাকে বার্ন করতে হবে। তাহলে ফ্যাট বার্ন, তাহলে কোষে ফ্যাট জমে গেছে, বার্ন করতে হবে। মানে সেই ফ্যাট বার্ন, আপনি যেমন ওজন কমিয়েছেন, ফ্যাট বার্ন করেছেন আপনি, এবং মাসেল গেইন করেছেন।
কেউ যদি তার ফ্যাটটাকে বার্ন করতে পারে হেলদি ওয়েতে এবং যদি সে মাসেলকে বিল্ড করতে পারে, এই মাসেল আপনার চর্বি খায়, এই মাসেল চিনি খায়, তা আপনি শুধু মাসেলটা ভালো রাখলেই, তো আপনি অনেক ভালো থাকবেন। এবং যতদিন আপনি মাসেলকে পাম্প করতে পারছেন, বিল্ড করতে পারছেন, ততদিন আপনি যৌবন, চির যৌবন।
আপনার বয়স ১০০ কিন্তু আপনার মাসেল পাম্প করে, আপনি এখনো মানে আরো একটা ছোট মেয়ে বিয়ে করলে নো প্রবলেম, জাস্ট আমি খুব সহজে বললাম।
কারণ আপনিও তরুণ বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু যখন আপনার বয়স ৫০, মাসেল ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, আপনি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন, মাসেল একটা মানে সিঙ্গেল ডিটারমিনেটর, যেটা দিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি তরুণ, নাকি বৃদ্ধ, নাকি শেষ বয়সে এসে পৌঁছেছেন।
যখন মাসেল ওয়েস্টিং আপনি ঠেকাতে পারবেন না, এবার সারেন্ডার করবেন আল্লাহর কাছে, যে বার্ধক্য এবং মৃত্যুর কোন ওষুধ নেই। কিন্তু যেহেতু আল্লাহ বলেছেন বার্ধক্য এবং মৃত্যুর কোন ওষুধ নেই, তার মানে বাকি সবকিছুর ওষুধ আছে, ইনশাল্লাহ।
যদি আমরা পারি তো এই কয়েকটা জিনিস। আর ডায়াবেটিস রোগীকে শুধু চিনিটা কিছুদিন একটু বাদ দিয়ে, এরপর সে রোজা রাখবে, রোজার মাধ্যমে সে ফ্যাট বার্ন করবে। রোজার সঙ্গে এক্সারসাইজকে কম্বিনেশন করে ফ্যাট বার্ন করবে।
আর স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, মানসিক প্রশান্তির চর্চা, আর হচ্ছে ভালো ঘুমের চর্চা, আর হচ্ছে প্রকৃতির জন্য একটু সময় দেওয়া, এ কটা জিনিস প্র্যাকটিস করলে এত সহজ আর এত আনন্দদায়ক।
যার এনার্জি ছিল না, যে এখন এনার্জি পাচ্ছে, সে না বুঝে এনার্জি কাকে বলে। এনার্জি না থাকলে কি হয়, যখন ছিল না, তখন কেমন ছিল, এখন কেমন লাগে, তো এই এত মজার একটা জিনিস, তো এখন যাদের ভিতরে যেকোনো রকম অসুস্থতা আছে, তার মানে সে এই মজা থেকে বঞ্চিত।
আমরা এগুলো জানি অনেকেই জানার পরও প্র্যাকটিস করি না।
প্রধান স্লোগান হচ্ছে জানি কিন্তু মানি না। মানি না, তার তিনটা মেইন কারণ।
তার ভিতর প্রধান কারণ হচ্ছে, সবাই যেভাবে চলে আমি সেভাবে চলি।
দুই হচ্ছে, আমরা নিজে কোন কষ্ট করতে চাই না, যেমন ওষুধ খাবো, কিন্তু নিজে ব্যায়াম করবো না।
আরেকটা, তিন হচ্ছে যে আমরা আসলে অনুধাবন যেটা, মানে নিজেকে যে সময় দেয়া, ইনার ফোকাসটা আমার নেই, সো ভবিষ্যৎ ভাবতেছি না, তা আমি কি করছি, সবাইকে সতর্ক করছি, যেমন সতর্ক শুধু মুখে করছি না, যেমন আপনার ভিটামিন ডি যদি থাকে ১৫-২০, আপনার এটা ৯০-১০০ করেন, অপটিমাল রাখেন, ইনশাল্লাহ, আপনি অনেক ভালো ইমিউনিটির অধিকারী হবেন।
আপনার ইনসুলিন রেজিস্টেন্স সময়ের, যদি আপনার এক থাকে, দিস ইজ আইডিয়াল ফর ইউ, যদি ছয় থাকে, কমিয়ে নিয়ে আসুন।
আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার ১২ বছর আগে আমি বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ, যে আপনার ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা।
আপনার হার্ট অ্যাটাকের ৩০-৪০ বছর আগে বলা সম্ভব, আপনার ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হবে।
আমি কত আগে আপনাকে সতর্ক করছি, দিস ইজ দা ফিউচার। এখন ফিউচার কেউ সামনে নিয়ে আসলে তাকে সবাই মনে করেন, যে একটু টিশকারি করেই।
এখন ধরেন, ইনসুলিন লেভেল আপনার খালি পেটে থাকবে তিন-চার বা পাঁচ, আপনার হয়তো আছে ১৫-২০, তাহলে এটাকে কমিয়ে নিয়ে আসুন, আপনার প্রধা ও সিআরপি, সেটা থাকবে তিনের নিচে, আপনার টিজি কম থাকবে, এইচডিএল বেশি থাকবে, টিজি-এইচডিএল রেশিও থাকবে দুই এর নিচে, এবং আপনার সবগুলো প্যারামিটার যদি আপনার ঠিক থাকে, তাহলে আপনি আলহামদুলিল্লাহ ভালো থাকবেন।
তা আমি এটাকে তো এভিডেন্স দিয়ে প্রমাণ করছি। এখন আপনি যদি দেখেন আপনার সবগুলো রিপোর্ট ভালো, শুধু ভিটামিন একটু কম আছে, এইচডিটা একটু বাড়াতে হবে, তাহলে এটা করলে আপনি ৬০-৭০ টা রোগ থেকে ইনশাল্লাহ ফিউচারে বাঁচতেছেন।
কেউ দেখলো যে, আমার হোমের এত বেশি, তাড়াতাড়ি কিভাবে কমাতে হবে, এগুলো করলে পরে হয় কি, ও মানে বুঝতে পারে, তার ভিতরের কন্ডিশনটা। তখন সে সতর্ক হয়, তো ওই যে এওয়ারনেস বিল্ডিং তো মুখের কথায় হবে না। যখন দেখে যে আমার ব্লক এতটা, তখনই দেখবেন আর তাকে গরু খাওয়াইতে পারতেছেন না। কথা বুঝতে পারছেন। তার আগ পর্যন্ত কিন্তু সে সমানে টেনে যাচ্ছে।
তো আমি ওদেরকে রিপোর্টগুলো সামনে দিয়ে বলি, যে দেখেন এই হলো আপনার অবস্থা। আপনার হার্টে ব্লক তৈরি হচ্ছে, কত পারসেন্ট, এটা এনজিওগ্রাম না করলে বোঝা যাবে না, বাট হচ্ছে, আপনার টিজিএসডি রেশিও বেশি, সিআরপি বা প্রথা বেশি, আপনার ইনসুলিন বেশি, আপনার ব্লাড সুগার বেশি, আপনার এইচবি-ওয়ান-সি বেশি, আপনার হোমা আইআর বেশি, আপনার ভিটামিনটা কম, এটা দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে পারছি।
তো আমরা কি করছি, ওইগুলো আমরা কারেক্ট করে দিচ্ছি। এবং এক মাস পরে সে কতটা ভালো হলো, আমার কাছে এভিডেন্স আছে, দুই মাস পরে কতটা ভালো, এভিডেন্স আছে। ও তো ট্র্যাক করতে পারছে। ভাই লাখ লাখ মানুষ তো আর বিনা কারণে, কাউকে, যে মহিলা নামাজ পড়তে পারতো না, সেজদা দিয়ে, সে সেজদায় গিয়ে আমার জন্য দোয়া করে, এটা আমার চাইতে হয় না। এরকম মাসে লক্ষ লক্ষ মানুষের দোয়া তো ভাই বৃথা হয় না।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=DIToDC4KnjM
মো. মহিউদ্দিন