আমাদের শরীরে থাকা প্রতিটি নার্ভে থাকে অসংখ্য মোটর ও সেন্সরি নিউরন। এগুলো অর্থাৎ মোটর নিউরনগুলো সঠিক সময়ে কাজ করে বলেই আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলতে পারি।
মোটর নিউরন কি?
মটর নিউরনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত নার্ভ বা স্নায়ুগুলো ঠিকঠাক মতো কাজ করে বলেই আমরা আমাদের হাত ও পায়ের নড়াচড়া, চলাফেরা, খাবার গিলে খাওয়া, কথা বলা ইত্যাদি কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে করে যেতে পারি। মোটর নিউরন রোগে আমাদের মুভমেন্ট, কথা বলা, গিলে খাওয়া, শাস-প্রশ্বাস নেওয়া ইত্যাদির জন্য দায়ী স্নায়ুগুলো (নিউরন)।
মটর নিউরন রোগে কারা বেশি ভোগেন?
শতকরা ৭৭ ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত পুরুষরা নারীর তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। গড়ে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীরা এই রোগে আক্রান্তে ভোগেন।
এই রোগে নার্ভ শুকিয়ে যেতে থাকে। ফলে ক্রমাগত নার্ভগুলো তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ঘাড় ও কোমরের নার্ভ এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। গরপৎড়ংপড়ঢু পরীক্ষা করলে দেখা যায়, মোটর নিউরনের সংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকে।
লক্ষণগুলো:
এ রোগে লক্ষণগুলো হলো- হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে কংকালসার হয়ে যাওয়া, মাংসপেশিতে কাঁপন ধরা, ঢোক গিলতে না পারা বা ঢোক গিলতে গেলেই পানি বা খাবার নাক দিয়ে বের হয়ে আসা, মাংশপেশিতে দুর্বলতা বোধ করা, দরজার নব খুলতে কষ্ট হওয়া, ছোট ছোট জিনিস হাত দিয়ে তুলতে না পারা, শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্ট হয়। কথা বলতে কষ্ট হওয়া, ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া, অতিরিক্ত থুতু তৈরি হওয়া, হাত ও পায়ের মাংশপেশি শুকিয়ে যাওয়া,
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা :
এ রোগের সুনির্দিষ্ট ও স্থায়ী কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। শুধু লক্ষণ ও জটিলতা গুলোর চিকিৎসা করা হয়। তবে ফিজিওথেরাপিতেও কিছুটা উপকারী রয়েছে।
তবে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে অপেক্ষা না করে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শুরুতেই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো।
লেখক : অধ্যাপক মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক (ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ)
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস।
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি -২, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ঢাকা। ০১৮৬৫৪৪৪৩৮৬, ০১৮৬৫৪৪৪৩৮৫
মোহাম্মদ আলী