হৃৎস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়ন্ত্রিত ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেই একজন মানুষ খুব সহজেই হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে পারেন। রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খেয়ে নেওয়া ভালো। রাত ১১টা বা ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া উচিত।
সে হিসেবে রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অবশ্যই আপনার রাতের খাবার শেষ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে লো ফ্যাট দুধ খেতে হবে। এ ছাড়া সকাল ও দুপুরের খাবারের সঙ্গে তিনটি ‘মিড মিল’ করতে বলা হয়।
অ্যধাপক ও কার্ডিওলজিস্ট ডা, অ্যালান রোজানস্কি জানিয়েছেন, চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
যাঁরা খাদ্যাভ্যাসের জন্য শুধু চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভর করে থাকেন। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু খাবার যেমন লাল মাংস, ডিমের কুসুম, লবণ খাওয়া যাবে না। এসব মেনে অনেক রোগী কিন্তু আবার অন্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
যেমন অনেক রোগীর শরীরে ভিটামিন ডি বা জিঙ্কের অভাব থাকে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। তাঁরা যদি ডিম, দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই কিন্তু বেশি হয়। দুধ খাওয়া বন্ধ করলে অনেক বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আবার অনেক রোগীকে চিকিৎসক লবণ খেতে নিষেধ করেন। শরীরে লবণেরও কিন্তু প্রয়োজন আছে। এর অভাবে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়।
ফলে রোগী হাইপোনেট্রিমিয়া নামের জটিল রোগে আক্রান্ত হন। আর হৃদ্রোগীদের ভেতর এই রোগ বেশি দেখা যায়। একেবারে বন্ধ না করে নির্দিষ্ট পরিমাণে লবণ খেলে হৃদ্রোগীর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
রাতে যেসব খাবার খেতে পারেন:
অলিভ অয়েল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর বলে এটা প্রদাহ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকর। এতে আছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। হৃদযন্ত্রের যত্ন নিতে এই উপাদানটি খুব প্রয়োজন।
গ্রিন টির আছে অনেক ধরনের গুণ। এটি চর্বি কাটে। ইনসুলিন উৎপাদনেও কাজ করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকার পান। হৃদযন্ত্রের জন্যেও কাজ করে গ্রিন টি
রাতে পানিজাতীয় খাবার যেমন-জুস বা স্যুপজাতীয় কিছু খেতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে সালাদ।
ভাত বা রুটি ভরপেট রাতে কখনই খাবেন না। অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেতে পারেন ফ্যাট ছাড়া দুধ দিয়ে তৈরি করা আইসক্রিম।
কম ক্যালরির ও হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে রাতে। সবজির ভর্তা বা সেদ্ধ সবজি খেতে পারেন। এবারও সঙ্গে রাখতে পারেন সালাদ। পাশাপাশি ডাল।
রাতে আরও খেতে পারেন আপেল, বেরি, কিশমিশ বা পিচ ফল ও ড্রাই ফ্রুট। আর রাতে টক দই খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। ভুলেও রাতে দেরি করে খাবেন না। এর ফলে ঢেকুর ওঠা, গলা জ্বালা করা, মাথাব্যথা ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে। এমন কি খাদ্যনালির ক্যানসারও হতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এসআর