আমরা বয়স নিয়ে কথা বলি। বিশেষত, তাদের নিয়ে যারা বয়সের বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল।আপনারা নিশ্চয়ই এমন কিছু মানুষকে চেনেন, যাদের সবসময় তারুণ্য এবং সুস্থতার জন্য প্রশংসা করা হয়।
তাদের গোপন রহস্য কী? এটি কি জেনেটিকস, নাকি অন্য কিছু?
হ্যাক স্পিরিট-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মাইন্ডফুলনেসের অনুসারী হিসেবে আমি এ বিষয়ে অনেক চিন্তা করেছি। মনোবিজ্ঞানের মতে, এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের উপর।
১. নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া
যারা সবসময় ব্যস্ত থাকে অথচ ত্বকে তারুণ্যের আভা ধরে রাখে, তাদের গোপন রহস্য কী?এটি আসলে কোনো জটিল বিষয় নয়। বরং এটি হলো স্ব-পরিচর্যা।নিজেকে ভালো রাখতে খাবার, ব্যায়াম, বিশ্রাম এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকার দিকে নজর দেওয়া তাদের মূল অভ্যাস। সমাজে আমরা ব্যস্ততাকে মহিমান্বিত করি। কিন্তু যারা স্ব-পরিচর্যার গুরুত্ব বোঝে, তারা জানে এটি কোনো বিলাসিতা নয়, বরং স্বাস্থ্য এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অপরিহার্য।
২.পর্যাপ্ত পানি পান করা
যদিও এটি বহুবার শুনেছেন, এটি সত্য। পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পানি দিয়ে তৈরি। হাইড্রেশন ত্বককে উজ্জ্বল রাখে, শক্তি বাড়ায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৩.মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করা
তারা মুহূর্তে উপস্থিত থাকে। মাইন্ডফুলনেস মানে বর্তমান সময়কে গ্রহণ করা এবং তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া। এই অভ্যাস মানসিক চাপ কমায়, মনকে পরিষ্কার করে এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি এনে দেয়, যা তাদের চেহারায় প্রতিফলিত হয়।
৪. ইতিবাচক মনোভাব রাখা
ইতিবাচক চিন্তা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কৃতজ্ঞতার চর্চা বা নিজেকে নিয়ে ভালো ভাবনা তাদের মুখে তারুণ্যের ঝলক এনে দেয়।
৫.সংযতভাবে উপভোগ করা
তারা কখনও কখনও মিষ্টি খায় বা এক গ্লাস ওয়াইন পান করে। তবে এটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।
৬.সামাজিক সংযোগ বজায়
মানসম্পন্ন সম্পর্ক তাদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।
৭.পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের সময় শরীর পুনর্গঠন করে। নিয়মিত এবং মানসম্পন্ন ঘুম তাদের চেহারায় "বিউটি স্লিপ"-এর প্রভাব ফেলে।
৮.বয়সকে সাদরে গ্রহণ
তারা বয়স নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে না। বরং নিজের যত্ন নিয়ে সুখী থাকে এবং জীবনের পরিবর্তন মেনে নেয়।
যদিও এই অভ্যাসগুলো তারুণ্যের চেহারা ধরে রাখতে সাহায্য করে, আসল লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্য ও সুখ ধরে রাখা।
নাহিদা