ক্লাব ফুট এখন আর অভিশাপ নয়। সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য একটা রোগের নাম। যা যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষের মাঝে ভুল চিকিৎসার কারণে এক ধরনের বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে যাচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার ফলে এ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিরলসভাবে গবেষণা করে যাচ্ছে। এর সুফল পাচ্ছে সাধারণ বাঁকা পায়ে জন্মগত শিশুরা। এই চিকিৎসার মূল টেকনিক পনসেটি টেকনিক অবলম্বন করে এ থেকে দ্রুত সময়ে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসকদের কাছে ক্লাব ফুটের সঠিক কারণ অজানাই রয়ে গেল। তাই তার চিকিৎসা পদ্ধতি একটু জটিল প্রকৃতির। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অতীব সাবধানতার সঙ্গে চিকিৎসা করা উচিত। পনসেটি টেকনিক মূলত জন্মের পর থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত এই চিকিৎসা পদ্ধতি অধিক কার্যকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। একটি শিশু জন্মগ্রহণ করার পর যত দ্রুত এই চিকিৎসা শুরু করা যায় তত দ্রুতই রোগী তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
ক্লাব ফুট কি : এটি একটি জন্মগত গোড়ালির সমস্যা। যেখানে এক অথবা উভয় পা ভেতরের দিকে এবং নিচের দিকে বাঁকানো অবস্থায় থাকে।
সাধারণত ক্লাব ফুট রোগী দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতি এক হাজার জনে একজন করে জন্মগত এক সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছেন। তুলনামূলক মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি হয়ে থাকে
চিকিৎসা পদ্ধতি
বর্তমান বিশ্বের অনেক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি চালু রয়েছে। তার মধ্যে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতির নাম পনসেটি টেকনিক সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। যা শুধু এই বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণই করলে দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। কিছু কিছু সময় এই চিকিৎসার পাশাপাশি সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। সার্জারির সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে বিভিন্ন নিয়মে প্লাস্টার করতে হয় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। প্লাস্টার এবং সার্জারির পরবর্তী সময়ে রোগীকে দীর্ঘদিন পায়ের ডিভাইস (জুতা) ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওই রোগীকে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে রেখে নিয়মিত কিছু এক্সারসাইজ করাতে হবে। তবেই মুগুর পায়ের অভিশাপ থেকে চিরতরে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
লেখক : চিফ কনসালট্যান্ট,
চেম্বার : উত্তরা মডার্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
বাড়ি-১, রোড-১৫, সেক্টর-১২, উত্তরা, ঢাকা
[প্রয়োজনে : ০১৭১৬ ৪৫৩ ২০৫]