আপনি যদি হাঁটার পরও ওজন কমাতে না পারেন, তবে কিছুটা স্থবিরতা সাধারণ, এবং এর মানে এই নয় যে হাঁটা একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।
আসুন কিছু কারণ জেনে নেই কেন হেঁটেও ওজন কমানো সম্ভব হচ্ছেনাঃ
১. আপনি পেশী তৈরি করছেনঃ
হাঁটা থেকে আপনি পেশী গঠনে বিশাল পরিবর্তন পাবেন না, যদি না আপনি ওজন তোলা এবং উচ্চ প্রোটিন ডায়েট চালু করেন। তবে, যদি আপনি আগে খুব অলস ছিলেন এবং এখন নিয়মিত হাঁটছেন, তবে প্রথমে শক্তি বৃদ্ধি এবং কিছু পেশী তৈরি হতে পারে।
২. আপনি খুব দ্রুত এবং অতিরিক্ত হাঁটছেনঃ
যদি আপনি খুব অলস থাকতেন এবং হঠাৎ করেই প্রচুর হাঁটা শুরু করেন, তবে আপনি অনেক ক্যালোরি পোড়াচ্ছেন, কিন্তু আপনার শরীর চেষ্টা করবে হোমিওস্টেসিস বজায় রাখতে, যার ফলে আপনার ক্ষুধা বৃদ্ধি পাবে। যদি আপনি ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়ান না, তবে এটি আরও বেশি ক্ষুধা তৈরি করবে এবং আপনি বেশি খাবেন, যার ফলে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে।’
৩. আপনার প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো উচিতঃ
যে কেউ শরীরের চর্বি কমাতে চায়, তাদের জন্য একটি মধ্যম থেকে উচ্চ প্রোটিন ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী ক্ষুধা কমাতে সহায়ক এবং প্রোটিন ব্রেকডাউনের জন্য শরীর বেশি শক্তি ব্যয় করে।’
৪. মদ্যপান আপনার সফলতা বাধাগ্রস্ত করছেঃ
মদ্যপান এমনকি বেশি ক্যালোরি সঞ্চয় করার কারণে নয়, বরং কারণ এটি আপনার শরীরকে সেই ক্যালোরি ফ্যাট হিসেবে সংরক্ষণ করার বদলে অ্যালকোহলকে শক্তি হিসাবে ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করে।’
৫. আপনার হাঁটা যথেষ্ট উচ্চ-তীব্রতার নয়ঃ
হাঁটা নিজেই একটি ভাল ওজন কমানোর উপায় হতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র তখনই কার্যকর যখন আপনি দিনে বেশি ক্যালোরি পোড়াচ্ছেন। হাঁটার তীব্রতা বাড়ানোর জন্য পাহাড়ি হাঁটা বা ওজন যোগ করা যেতে পারে।’
৬. আপনি যথেষ্ট হাঁটছেন নাঃ
প্রতিদিনের হাঁটার সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে, আপনি যদি তীব্র হাঁটা বা পাহাড়ি হাঁটার মতো পরিশ্রমী কার্যকলাপও অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে আপনি ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।’
৭. আপনি পর্যাপ্ত সময় ধরে হাঁটা চালিয়ে যাননিঃ
এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যদি আপনি নিয়মিত হাঁটেন এবং খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করেন, তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের গঠন পরিবর্তন শুরু হবে।’
৮. আপনি ক্যালোরি ঘাটতি তৈরী করছেন নাঃ
ওজন কমাতে হলে, আপনাকে ক্যালোরি কমাতে হবে। যদিও ক্যালোরি গণনা করা কঠিন, তবে খাওয়ার সময় আপনার ক্ষুধার অনুভূতিতে মনোযোগ দিন এবং খাওয়ার সময় সচেতন হন।’
৯. আপনি পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছেন নাঃ
যদি আপনার ঘুম ভালো না হয়, তবে আপনি পরদিন অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব করতে পারেন, কারণ এটি আপনার ক্ষুধার হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার শরীরের সঠিক পরিমাণে শক্তি চাহিদার জন্য ভাল ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
১০. আপনি দিনের শেষে অত্যধিক উচ্চ-তীব্রতার অনুশীলন করছেনঃ
হাঁটা এমন একটি ব্যায়াম যা আপনি যেকোনো সময় করতে পারেন, কিন্তু অন্যান্য উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম, যেমন স্পিন ক্লাস বা ওজন তোলা, রাতে করলে আপনার ঘুমে সমস্যা হতে পারে।
তানজিলা