কোভিড-১৯ মহামারীর সময় পুরো পৃথিবী যখন থেমে গিয়েছিল, তখন সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল শিল্প ও সংস্কৃতি খাতে। সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা ও প্রোডাকশন কর্মীরা জীবিকা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
এই কঠিন সময়ে উদ্ধার পেতে কেমন মানসিকতা তাদের শক্তিশালী করে, সে সম্পর্কে জানার জন্য, ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মীরা 'মিউজিককেয়ারস', সংগঠনের সহযোগিতায় এক গবেষণা শুরু করে।
গবেষকদের মূল আগ্রহ ছিল দুটি মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি: মনোযোগীতা এবং আশাবাদিতা। মনোযোগীতা মানে বর্তমান সময়ে উপস্থিত থাকা এবং সচেতন থাকা, আর আশাবাদিতা মানে ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো সম্ভাবনা দেখা এবং সেই দিকে কাজ করা।
গবেষণায় ২৪৭ জন শিল্পীর ১৮ মাসের মনোভাব এবং সুস্থতার তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যাদের অনেকটাই লকডাউনের সময় কেটেছে। তারা কিভাবে মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে এবং তাদের মানসিকতা কতটা কার্যকর হয়েছে সেসব জানার জন্য এ কাজ করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সবচেয়ে কার্যকর। যারা আশা রেখেছিল তারা বেশি মানসিক শক্তি এবং উদ্যম অনুভব করেছিল। তারা নিজেদের কাজের প্রতি উচ্চ মনোযোগ এবং সৃজনশীলতার অনুভূতি ধরে রাখতে পেরেছিল।
এ গবেষণায় মনোযোগীতা, যা সুস্থতার একটি প্রধান উপায় হিসেবে দেখা হয়, তা ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়নি। যদিও এটি ক্ষতিকর ছিল না, তবে এটি শিল্পীদের পুনরুদ্ধারে বিশেষভাবে সহায়ক ছিল না।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, আশা এমন এক শক্তি যা ইতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা পরে তাদের পুনরুদ্ধারে সহায়ক। যে শিল্পীরা আশাবাদী ছিলেন, তারা সুস্থতা এবং কার্যকর কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পারছিলেন, তারা নতুন উপায়ে ভাবছিলেন এবং তাদের শিল্পের প্রতি আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।
তানজিলা