বাংলাদেশ এগারো লাখের বেশি ডিমেনশিয়ার রোগী আছে। দেশে ডিমেনশিয়ার ব্যাপারে আরও গবেষণা করা উচিত, বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, আমাদের আরও তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। সঠিক তথ্য পেলে ডিমেনশিয়ার সঠিক চিকিৎসা প্রদান সম্ভব।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও জাতীয় উদ্যোগে ডিমেনশিয়া যত্ন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আজ আশ্বস্ত হয়েছি যে চিকিৎসা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল হয়। ভাসকুলার ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ চিকিৎসার ব্যাপার শুনে আমি আশার আলো দেখলাম। এখন ডিমেনশিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা না থাকলেও আশা করি আগামীতে বাংলাদেশের গবেষকরাই এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার করবেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, রোগীর সেবা যত্নকারীর সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
ডিমেনশিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা ডাক্তার-নার্সদের বিভিন্ন রকম ট্রেনিং দেই, নিজেরা ট্রেনিং নিই। কিন্তু এবার আমাদের মানবিক ট্রেনিং নিতে হবে। সব জায়গায় সচেতনতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ডিমেনশিয়া: ক্রমবর্ধমান জাতীয় সংকট নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ আজিজুল হক।
আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হক, এবং চিকিৎসক, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরা
তানজিলা