ডা. সাবরিনা হোসেন মিষ্টি।
করোনা সনদ জালিয়াতি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনায় আসেন ডা. সাবরিনা হোসেন মিষ্টি। এ ঘটনায় তিন বছর জেলও খেটেছেন তিনি। আর এ ঘটনায় একটি দুষ্টচক্র টার্গেট করে তাকে ফাঁসিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডা. সাবরিনা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন ডা. সাবরিনা হোসেন মিষ্টি।
এদিকে, জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরতে পছন্দ করেন এই নারী চিকিৎসক। কিন্তু কারাবাস শেষে হাইকোর্টের আদেশে জামিনে বের হলেও এত কিছুর পরও তার নেই কোনো অনুশোচনা।
সাক্ষাৎকারে ডা. সাবরিনা বলেন, ‘তিতুমির কলেজে একটা ক্যাম্প করে সেখানে স্যাম্পেল কালেকশন করতো। স্বাভাবিকভাবেই মাঝেমাঝে দেখতে যেতাম। সেটা দেখতে অনেকেই যেতেন। তার মানে এই না যে ওটা আমি পরিচালনা করছি। ওখানকার চেয়ারম্যান বা সিইও আমি নয়।’
তিনি বলেন, ‘তখনকার পরিস্থিতিটা আমার মনে হয়েছিল একটা সাজানো নাটক। হারুন সাহেব এই নাটকটা প্লে করেছেন নিশ্চিয়ই নিজের ইচ্ছায় নয়। উপর থেকে কোনো মাস্টারমাইন্ড তাকে বলেছেন।’
আরেক প্রতারক রিজেন্টের শাহেদের বিষয়ে সাবরিনা বলেন, ‘ওই সময় আরেকটা যে মামলা হচ্ছিল রিজেন্টের। মামলা দু’জন মিলে করেছেন অথচ, উনিও কখনও আমাকে চোখে দেখেননি, আমিও ওনাকে জীবনে চোখে দেখেনি।’
অভিযোগে জানা যায়, নমুনা সংগ্রহ না করেই ২৭ হাজার মানুষকে দেওয়া হয় রিপোর্ট। এর বেশিরভাগই প্রমাণ হয় ভুয়া বলে। এরপর সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ আসে। এ ঘটনায় তাকে ২০২০ সালের ২৩ জুন এবং ডা. সাবরিনাকেও একই মামলায় ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ২০২০ সালের ২৩ জুন সিলগালা হয়ে যায় জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি।
সাবরিনার আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার বলেন, ‘যেহেতু আপিলে আছে, আপিল যখন শুনানী হবে এটা পেন্ডিং পর হিয়ারিং, এটা অনেক সময় লাগবে। আর অন্য মামলাটি চলমান আছে, সেটায় সে জামিনে আছে।’
এম হাসান