১: বালিশ অথবা তোষকের তুলা এবং আঁশ থেকে অনেক সময় এ্যাজমা হতে পারে। আর্দ্র তুলা এবং আঁশে মোল্ড (গড়ষফ) জন্ম নেয়, যা এ্যাজমার সূচনা করতে পারে। এজন্য নিয়মিত বালিশ এবং তোষক গরম পানি (১৩০ ফারেনহাইটের ওপর) দিয়ে ধুতে হবে।
২: গৃহপালিত বিড়াল এবং কুকুরের লোমশ শরীরের খুশকি (ঢ়বঃ ফধহফবৎ) এ্যাজমা এবং আসবাবপত্রের কাছ থেকে যথাসম্ভব, কুকুর বা বিড়ালকে দূরে রাখতে হবে।
৩: কার্পেট ও পর্দা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার এক্ষেত্রে অনেক উপকারী উপায়/যন্ত্র।
৪: স্যাঁতসেঁতে স্থানে শৈবাল বা মোল্ড (গড়ষফ) জন্ম নেয়। এগুলো প্রতিরোধ পানির পাইপের লিকেজ মেরামত করে ঘরবাড়ি বা বাথরুশ পরিষ্কার রাখা উচিত।
৫: সিগারেটের ধোঁয়া অনেকের এ্যাজমার কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য ধূমপান পরিহার করা অবশ্য কর্তব্য। কোথাও বেড়াতে গেলে ‘ধূমপান মুক্ত’ হোটেল রুম আগে থেকেই বুক করে রাখা ভাল।
৬: এয়ার ফ্রেশনার এবং এ্যারোসলের স্প্রে যতটা সম্ভব পরিহার করা উচিত।
৭: অতিরিক্ত গরম কিংবা আর্দ্র পরিবেশ এ্যাজমা এ্যাটাক শুরু করতে পারে। মুক্ত ও শুষ্ক এবং পরিষ্কার পরিবেশে বেশীক্ষণ কাজ করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৮: রাস্তাঘাটের ধুলাবালিতে এ্যালার্জি থাকলে রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৯: আপনার এ্যাজমার ইতিহাস থেকে থাকলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের মানুষকে আগে থেকে জানিয়ে রাখুন। এতে আপনার শ্বাসকষ্টের সময় তাঁরা সহজেই আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
১০: শিশুর এ্যাজমা থাকলে স্কুল শিক্ষককে আগে থেকে জানানো উচিত। অনেক সময় চকের গুঁড়ো থেকে এ্যাজমার শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুকে বোর্ড থেকে দূরে বসার জন্য বলা উচিত।
১১: জরুরী অবস্থা সামাল দেয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার এবং নেবুলাইজার সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।
১২: চিন্তামুক্ত থাকুন। অতিরিক্ত ংঃৎবংং এ্যাজমার সূচনা করতে পারে।
১৩: কোথাও বেড়াতে গেলে নিকটস্থ হাসপাতাল বা ফার্মেসি সম্পর্কে ধারণা রাখুন। জরুরী অবস্থাতে এঅ্যাজমা এ্যাটাক প্রতিরোধে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অ্যাজমা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় টিপস
শীর্ষ সংবাদ: