ছবি: সংগৃহীত
মুখের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ একটি সাধারণ ঘটনা। দিনে দুবার ব্রাশ করার পরও দুর্গন্ধ যেন থেকেই যায়। নানা কারনে দুর্গন্ধ হতে পারে যেমন- বদহজম, মুখের মধ্যে সংক্রমণ। খাবার খাওয়ার পর ভালো ভাবে কুলকুচি না করলেও দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত মুখে ব্যাকটেরিয়া জমার কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে থাকে। দীর্ঘক্ষণ মুখ বন্ধ করে রাখলেও মুখের দুর্গন্ধ তৈরি হয়। কথা বলার সময় মুখ ঢেকে কথা বলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
জেনে নিন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে-
পানি আমাদের শরীর এর জন্য উপকারী। পানি কম পান মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে। পানি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি আপনার শ্বাস সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তাই যদি আপনার নিঃশ্বাসে প্রচুর গন্ধ অনুভব করেন তবে দিনে প্রচুর পানি পান করুন। তাছাড়া পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
পুদিনাপাতা জনপ্রিয় সুগন্ধি, যাকে প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ বলা যেতে পারে। তাই মুখে গন্ধ হলে ২-৩টি পুদিনাপাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন।
লবঙ্গ,দারুচিনি হলো আমাদের রান্নাঘরে থাকা সাধারণ উপাদান যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে পারে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি কয়েক টুকরো লবঙ্গ বা দারুচিনি মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন।
হালকা গরম লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করলে তা মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে পারে এবং আপনার মুখের গন্ধকে সতেজ করে তুলতে পারে। লবণ-পানি মুখের মধ্যে গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে দূরে করে।
খাওয়ার পর মৌরি খাওয়ার চলছে বহু দিনের। কেউ কেউ কাঁচার বদলে মৌরি ভাজা খেতে পছন্দ করেন। এতেও মুখের দুর্গন্ধ চলে যায়। এটি খাবার হজমে খুবই উপকারী।
কমলা লেবু মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে। খোসা চিবালেই দূর হবে মুখের দুর্গন্ধ, ক্ষয় হবে না দাঁতের এনামেল, মজবুত হবে দাঁতের গোড়া।
জিভ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁত মাজলেই যে মুখের সব জীবাণু চলে যাবে, এমন নয়। প্রতিবার দাঁত মাজার সময় জিভটাও পরিষ্কার করুন।
তাজিন