ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দিয়ে ১৭ মাদরাসাছাত্রী হাসপাতালে

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দিয়ে ১৭ মাদরাসাছাত্রী হাসপাতালে

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়ে ১৭ মাদ্রাসাছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

অসুস্থরা সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রী।


তবে চিকিৎসকরা বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর ভয়ে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবে।’

 

 

 


অসুস্থ ছাত্রীদের সহপাঠীদের দাবি, টিকা প্রদানকারীরা বলছেন, ছাত্রীরা সকালে খাবার না খাওয়ায় টিকা নেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে টিকা দেয়ার আগে কেন তাদের খাবারের কথা জিজ্ঞেস করা হয়নি? টিকা নেয়ার পর কয়েকজন শ্বাস নিতে পারছিলো না। কয়েকজন প্রচণ্ড ব্যথায় হাত-পা নাড়াতে পারছিল না।


এ দিকে হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের তথ্য-ছবি সংগ্রহের সময় টিকা কার্যক্রমে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক পরিচয়দানকারী ডা. খাদিজা আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।

 

 

একপর্যায়ে তিনি রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজনকে বলেন, ছাত্রীরা অসুস্থ হয়নি। ভয়ে তাদের মাথা ঘুরাচ্ছে। এর বেশি কিছু নয়।


অসুস্থ ছাত্রীরা হলেন: মাহি (১২), মাহিয়া আক্তার (১২), আছমা (১২), সুমাইয়া (১২), মারিয়া আক্তার (১২), মীম (১২), খাদিজা (১২), তামান্না (১৪), নুসরাত (১৩), আকলিমা (১২) মিথিলা (১৩), আঁখি আক্তার (১২), আফিফা (১২), প্রীতি (১২), জান্নাতুল আকলিম মিপ্তা (১২), মাইশাসহ (১৩) ১৭ জন।


মাদ্রাসা সূত্র জানায়, দুপুরে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের এইচপিভি টিকা দেয়া হয়। টিকা দেয়ার আধাঘণ্টা পর কয়েকজন ছাত্রী মাথাঘুরে পড়ে যায়। এরপর একে একে ১৭ ছাত্রীর কেউ বমি করে আবার কারও মাথা ঘুরে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

 

জান্নাতুল আকলিম মিপ্তা নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা শামসুল আলম বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর প্রথমে আমার মেয়েসহ চারজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার মেয়ের ডান পা ব্যথা হয়ে প্রায় অবশের মতো অবস্থা হয়েছে। ধরাও যাচ্ছিল না। নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হয়েছে, বুকেও ব্যথা ছিল।’


মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মাহবুব আলম বলেন, ‘টিকা নেয়ার আধাঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কয়েকজনের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। তাদের অক্সিজেন দেয়া হয়েছে।’

 

 

 

 

 


এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর ভয়ে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়। ভয় থেকে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।’

এম এম

×