দাঁতের সমস্যায় রুট ক্যানেল
দাঁতের সমস্যায় সবাই কমবেশি ভুগেন। ব্যথা কমানোর জন্য কেউ কেউ ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাতেও যখন সমস্যার সমাধান হয় না তখন কেউ দাঁত তোলার সিদ্ধান্ত নেন। আবার কেউ রুট ক্যানেল চিকিৎসা নেন।
দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। দাঁত তুলে ফেলবেন, নাকি রুট ক্যানেল চিকিৎসা নেবেন, সিদ্ধান্ত আপনার। দাঁত তুলে ফেলার একটি বড় সমস্যা হচ্ছে- অন্য দাঁতগুলোর কাঠামো বা ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
সেক্ষেত্রে দাঁত যদি তুলে ফেলতেই হয় তাহলে ফাঁকা জায়গায় একটি কৃত্রিম দাঁত লাগিয়ে নেওয়া ভালো। দাঁত রুট ক্যানেল চিকিৎসা নিলে দাঁতের ভারসাম্য ঠিক থাকে।অনেক সময় দাঁতের গর্ত কতটা গভীর হয়েছে বোঝা যায় না। সেক্ষেত্রে মিষ্টিজাতীয় বা ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার পরে কত সময় শিরশির অনুভূতি হচ্ছে? ব্যথা স্থায়ী হচ্ছে কী- সেটা বোঝা উচিত। ব্যথা যদি ১৫ থেকে ২০ সেকেণ্ডেও না কমে- বুঝতে হবে গর্ত গভীর হয়েছে। তখন রুট ক্যানেলের প্রয়োজন হতে পারে।
রুট ক্যানেল:
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট যা এন্ডোডন্টিক ট্রিটমেন্ট নামেও পরিচিত। দাঁতের পাল্প বা মজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হলেই
রুট ক্যানেল করা হয়।
ডেন্টাল হ্যান্ডপিসের মধ্যে ফাইল ব্যবহার করে দাঁতের পাল্প বা মজ্জা পরিষ্কার করে ক্যানেলের শেপ দেওয়া হয়।
তারপর গাটা পার্চার মাধ্যমে ক্যানেল ভরাট করা হয় এবং দাঁতের মধ্যে ফিলিং দেওয়া হয়।
সর্বশেষ ডেন্টাল ক্রাউনের মাধ্যমে দাঁতটাকে সংরক্ষণ করা হয়।
এই চিকিৎসার পর রোগীর ব্যথা ও যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়।
রুট ক্যানেল না করলে যেসব সমস্যা হতে পারে। যেমন:
দাঁতটা সংরক্ষণ করা যাবে না।
আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাবে।
সর্বশেষ দাঁত ফেলে দিতে হবে।
তথ্যসূত্র: ডা. ফারজানা আক্তার জেবিন,বি.ডি.এস (ডি.ইউ), পি.জি.টি (ও.এম.এস)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
এসআর