ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

স্তন ক্যান্সার দিবস আজ 

গোপনীয়তাই বিপদ ডেকে আনছে 

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৪

গোপনীয়তাই বিপদ ডেকে আনছে 

স্তন ক্যান্সার

১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী সীমা (ছদ্মনাম)। এক ভাই আর বাবা-মার সঙ্গে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় বসবাস করেন। স্কুলের মাঠে ডানামেলে উড়ে উড়েই যখন কাটছিলো জীবন তখন হঠাৎ একদিন ঘটে ছন্দপতন। ডানদিকের স্তনের মধ্যে ছোট্ট একটি ফোঁড়া উঠে। কোনো পোকামাকড় কামড় দিয়েছে ভেবে এড়িয়ে গেলেও বিপত্তি ঘটে যখন এক রাতে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। বাবা-মায়ের কাছে এতদিন লুকিয়ে রাখলেও মাঝরাতে তীব্র ব্যথা কাতর সীমাকে চিন্তিত হয়ে পড়েন তারা। পরদিন সকালেই নিয়ে যান রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ডাক্তার সব দেখে-শুনে দিলেন ক্যান্সারের জীবাণু পরীক্ষাসহ নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চিন্তা আরও বেড়ে যায় পরিবারের। শেষ পর্যন্ত ক্যান্সার না হলেও আর কয়দিন অবহেলা করলেই মারাত্মক কিছু ঘটতে পারতো বলে জানান চিকিৎসক। ক্যান্সার না হলেও টিউমার ধরা পরে। দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রোপচার করে টিউটমারটি ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অল্পের জন্য বেঁচে যায় কচি প্রাণ।

কিন্তু বাঁচতে পারেন নি কল্পনা মিত্র (ছদ্মনাম)। বেসরকারি চাকরিজীবী এই মহিলার স্তনে যখন গোটা দেয় তখন পাত্তা না দিয়ে ক্যান্সারের ২ধাপে গিয়ে শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। এক ছেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়ালেখা করছে। স্বামীও একটি মোটামুটি ভালোই একটা চাকরি করেন। তিনজনের হাসিখুশি পরিবার দেখে যে কেউই ফেলতো স্বস্তির নি:শ্বাস। কিন্তু এক নিমিষে তছনছ হয়ে যায় পুরো সংসার। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, গত বছরের শুরুতেই ডান দিকের স্তনে একটি ফোঁড়া দেখতে পাই। ফোঁড়া তো শরীরের যেকোনো জায়গায়ই হয়। এ আবার এমন কি? এদিকে অফিসে কাজের চাপও খুব বেশি। কয়দিন পরই ডাক্তারের কাছো যাবো ভাবি। সেই কয়দিন পর এক মাসে গিয়ে গড়ায়। মে মাসের এক সকালে দেখি ফোঁড়াটি শক্ত হয়ে আছে। আর কোনো দিকে চিন্তা না করে ছুটে যাই পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসক নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি দেন বায়োপসি পরীক্ষাও। 

ফলাফল ক্যান্সার দ্বিতীয় স্তর। মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পরে। চিকিৎসককে সব রিপোর্ট দেখালে জানায়, আর কয়টা দিন আগে আসলেও হয়তো ক্যান্সার হতো না। এত দেরি করলেন যে প্রথম স্তর শেষ হয়ে দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছে গেছে। এখন আর অস্ত্রোপচার করে স্তন কেটে ফেলা ছাড়া কোনো সমাধান নেই। তবে এর আগে কোমোথেরাপি দিয়ে শরীরে ক্যান্সারের জীবানু মেরে ফেলতে হবে। অন্তত: ৮টা কেমোথেরাপির পরই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে। এরপর দিতে হবে রেডিওথেরাপিও। সব মিলিয়ে অন্তত: ১ বছর সময় লাগবে পুরো চিকিৎসা শেষ হতে। সব ঠিক থাকলে সুস্থ হয়ে উঠবেন আর না হয় কিছু বলা যাচ্ছে না। পুরো এক বছর শেষ হলেও এখনো শেষ হয়নি চিকিৎসা। চিকিৎসকরা একটা স্তন কেটে ফেলার পরও চিকিৎসার নানান ধাপ পার করতে করতে কেটে গেছে দুইটা বছর। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক সঙ্গতি নেমেছে তলানিতে। বাড়ির জমি বিক্রি করে পর্যন্ত চালাতে হয়েছে চিকিৎসা। 

কল্পনার মতো শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে দেশের অধিকাংশ নারীই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত স্ক্রিনিং করেন না। যেখানে শুধুমাত্র স্ক্রিনিংয়েই বাঁচতে পারে অনেক প্রাণ। চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে প্রতি বছর অন্তত: ১৩ হাজার নারী নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যান্সারে। এদের মধ্যে করুণমৃত্যু বরণ করছেন ৮ হাজারের বেশি নারী। তাই স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে অক্টোবর মাসের পুরোটাকে ঘোষণা করা হয়েছে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস। আর আজ বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লক্ষণ না থাকলেও ঝুকিপূর্ণ নারীদের সহজ ও ব্যথা-কষ্টবিহীন পদ্ধতি প্রয়োগ করে গোপন থাকা ক্যান্সার নির্ণয় করাকে ক্যান্সার স্ক্রিনিং বলা হয়। স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা  গেলে ও সময়মতো পরিপূর্ণ চিকিৎসা দিতে পারলে শতকরা ৯০ ভাগ রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব। নিয়মিত স্ক্রিনিং করলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। আর তাই স্ক্রিনিংকে গুরুত্ব দিতেই গত বছরের মতো চলতি বছরও স্তন ক্যান্সারের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে  ‘স্তন ক্যান্সার, চাই দ্রুত নির্ণয় ও পরিপূর্ণ চিকিৎসা’। এতদিন শুধু স্ক্রিনিংয়ের উপর জোর দেয়া হলেও চলতি বছর পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসায়ও জোর দেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অনেকে অস্ত্রোপচার করলেও রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি দেন না সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে। তাই চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা সহজলভ্য করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আএআরসি (ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার) এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন এই ক্যান্সারে। সংখ্যায় কম হলেও পুরুষদেরও এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। আর তাই এই মারাত্মক ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর (আজ) দেশে পালিত হয় দিবসটি। 

বাংলাদেশে ১ অক্টোবর থেকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস পালন করা হয় জানিয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইপিডেমিওলোজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও স্তন ক্যান্সার নিয়ে কাজ করে এমন ৩০টি  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর এই ফোরাম গঠিত হয় এবং ২০১৩ থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে ফোরামের আহবানে  বেসরকারিভাবে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। 

তিনি বলেন, এতদিন আমরা স্ক্রিনিংকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। কিন্তু এখন সময় এসেছে স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি রোগী যেনো পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পায় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্ক্রিনিং কার্যক্রম সব মানুষের দোরগোড়ায় তো নিয়ে যেতে হবেই পাশাপাশি বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি কার্যক্রমগুলো সহজলভ্য করতে হবে। 
ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, বিশ্বব্যাপি নারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা, নিরব ঘাতক স্তন ক্যান্সার। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় তেরো হাজার নারী নতুন করে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। মারা যায় প্রায় আট হাজার। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, নারীদের সংকোচবোধ দেরীতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কারণ। বাংলাদেশে সার্বিকভাবে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাও অপ্রতুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ,  প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর কোন জাতীয় কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নাই। তবে আমরা সরকারকে এ বিষয়ে বার বার বলছি। আশা করছি একটা সময় ফলাফল পাবো। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের চালু করা জরায়ুমুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্তন ক্যান্সারের যে স্ক্রিনিং দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে সরকারের সহযোগিতায় চালু আছে, তা অসংগঠিত, অসম্পূর্ণ। অবিলম্বে স্তন, জরায়ুমুখ ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার-এই তিনটির জন্য সমাজভিত্তিক, সংগঠিত ও সমন্বিত জাতীয় স্ক্রিনিং কর্মসূচী প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন শুরু হওয়া দরকার। 

সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ বিকিরণ চিকিৎসা যন্ত্রের একযোগে বিকল হয়ে পড়া দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের অসহায়ত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় সরকারি হাসপাতালে স্তন ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসার সংকট দূরীকরণে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এসব লক্ষ্য নিয়ে গড়ে উঠেছে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা  ফোরাম। গত দশ বছরে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব অঞ্চলে জেলা-উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল ও সমাজভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে এই ফোরাম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪০ বছরের বেশি বয়স্ক নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। স্তন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে অর্থাৎ মা-খালাদের থাকলে সন্তানদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেসব মায়েরা সন্তানকে কখনও বুকের দুধ খাওয়াননি তাদেরও স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় ৩০ বছরের পরে যারা প্রথমবারের মত মা হয়েছেন, তাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

এছাড়া যাদের তুলনামূলক কম বয়সে মাসিক শুরু হয় ও দেরিতে মাসিক বন্ধ হয় তারাও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন। একাধারে অনেকদিন (১০ বছর বা বেশি) জন্ম নিরোধক বড়ি খেলেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানান, স্তনের বোটা থেকে কিছু বের হওয়া, স্তনের ভিতর চাকা অনুভব করা, স্তনে ব্যাথা অনুভব করা, আকারে লক্ষণীয় পরিবর্তন, স্তনের ত্বকে ঘাঁ দেখা দেওয়া, স্তনের ত্বকে লালচে ভাব বা লালচে দাগ দেখা দেওয়া এর মধ্যে অন্যতম। গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. শিখা গাঙ্গুলি জনকণ্ঠকে বলেন, স্তনে এসব লক্ষণের যেকোনো একটি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এতে করে যেমনি ক্যান্সারের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তেমনি মৃত্যুর হাত থেকেও বাঁচা যাবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে দিন দিন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ ব্যাধির শিকার হয়ে প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছেন হাজারো নারী। সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যেতে অনীহা, নিজের ও পরিবারের অবহেলার কারণেই এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসা বাঁচিয়ে তুলতে পারে রোগীকে এবং দিতে পারে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন। বয়স বেশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের ক্ষেত্রে এ রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বিশ্বায়নের প্রভাবে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনও এ রোগের জন্য অনেকটা দায়ী মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে অধিকাংশ নারী স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে শেষ পর্যায়ে (চতুর্থ পর্যায়) ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। যখন রোগীকে আর কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব হয় না। 

তবে শুধু নারী নয় স্থুলাকার পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, নারী-পুরুষ উভয়েরই এটি রোধে নিয়মিত স্ক্রিনিং প্রয়োজন। এ স্ক্রিনিং জটিল কিছু নয়। একজন মানুষ নিজে নিজেই সেটি করতে পারেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে স্তনের চারপাশে কোনো ধরণের শক্ত চাকা বা ফোঁড়ার মতো রয়েছে কি না তা নিয়মিত যাচাই করলেই এরকম ভয়ংকর একটি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। 
 

স্বপ্না/শহিদ

×