সবাইকে সচেতন করতে পারলে ডেঙ্গুর প্রতিকার করা সম্ভব: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন করতে পারলে ডেঙ্গুর প্রতিকার করা সম্ভব। ডেঙ্গু নিয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রশাসনিক লেভেলে  বৈঠক হয়েছে। ডেঙ্গুর দুটি দিক আছে। একটি হচ্ছে প্রতিরোধ আরেকটি চিকিৎসা। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন করতে পারি তাহলে ডেঙ্গুর প্রতিকার করা সম্ভব। 

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। 

নূরজাহান বেগম বলেন, ‘ডেঙ্গুর চিকিৎসায় আমরা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করেছি। আমাদের ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগর চিকিৎসায় বাড়ানো হয়েছে শয্যা সংখ্যাও। সবাই নিজের জায়গা থেকে সচেতন হলে ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি। 
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আন্দোলনে আহতদের বিষয়ে বলেন, বর্তমানে বার্ন হাসপাতালে ১৪ জন আন্দোলনে আহত  রোগী ভর্তি আছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাঠানো ৬৭ জনকে বার্ন ইনিস্টিউটে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘এনআইও বা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে ইতিপূর্বে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে চায়না থেকে বিশেষজ্ঞরা এসেছিলেন এবং দেখে তারা বলেছেন যে আমাদের এখানে ডাক্তাররা যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন সেটা  যথাযথ হয়েছে। তারা থাকলেও একই চিকিৎসা করতেন। এদের ভেতর তিনজনকে নিয়ে বলেছেন যে তারা দেশে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে মতামত জানাবেন।’

তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার নেপাল থেকে ৩ জন নামকরা চক্ষু সার্জন দেশে এসেছেন। তারা আহতদের ভেতর ৭০ জনের মতো রোগী আজ শনিবার দেখেছেন। এদের মধ্যে আগামীকাল রবিবার তিনজনের চোখের অপারেশন করা হবে। এছাড়া ৭ তারিখে ফ্রান্স থেকে ডাক্তাররা আসবেন। এরপর ইউএসএ থেকে আসবেন। সবাইকে তো আমরা বিদেশে পাঠাতে পারব না তাই চেষ্টা করছি বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনে কিভাবে দেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসাটা দিতে পারি। প্রয়োজনে দেশি এবং বিদেশি ডাক্তাররা মিলে এখানে অপারেশন করবে।’

এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বার্ন ইনিস্টিউটের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা নিয়ে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেনসহ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।