ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

হাসপাতাল থেকে ভুয়া নার্স অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ২০:১৪, ১৪ আগস্ট ২০২৪

হাসপাতাল থেকে ভুয়া নার্স অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বিএনএমসি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন।

বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভুয়া নার্সদের অপসারণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে সাধারণ নার্স ও মিডওয়াইফরা। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। তবে মানববন্ধন শেষে বিএনএমসি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নাসির উদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দিতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্মারকলিপিতে ভুয়া নার্স অপসারণ, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে ডিগ্রীর (পাস) সমমান করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সিং ফ্যাকাল্টি চালুসহ আট দফা দাবির উল্লেখ রয়েছে।

মানববন্ধনে নার্সরা বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে এসে ভুয়া ও অনিবন্ধিতদের কাছে নার্সিং সেবা নিয়ে প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। তাদের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের থেকে টাকা নিলেও দিচ্ছে না মানসম্মত সেবা এবং মাঝে মাঝে এসব ভুয়া নার্সের কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়।’

তারা আরও বলেন, ‘হাসপাতাল মালিকরা স্বল্প বেতনে ভুয়া, অনিবন্ধিত ব্যক্তিদের নার্স হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। ফলে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক পাশ করা বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাশ  রেজিস্টার্ড নার্স ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি পাশ মিডওয়াইফরা হাসপাতালগুলোতে যথাযথ বেতন কিংবা সম্মান পাচ্ছেন না।’

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন-২০১৬ এর ২১ ধারা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘নার্স কারা এ বিষয়ে আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগে কোনো নিয়মই মানা হচ্ছে না। এমনকি আইন করার ৮ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত এই আইন এর কোনো প্রয়োগ হয়নি।’

নার্সদের আট দফা দাবি হলো-

১. ভুয়া নার্স নির্মূলের বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং কোন হাসপাতালে (সরকারি ও বেসরকারি) কতজন রেজিস্টার্ড নার্স কর্মরত আছেন সেটি বিএনএমসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

২. ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে ডিগ্রীর (পাস) সমমান করতে হবে। 

৩. নতুন করে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সধারীদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের নামে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যাবে না। তাদেরকে নার্স বলে সম্বোধন করা যাবে না। 
৪. পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের জন্য আলাদা পোর্টালের ব্যবস্থা করতে হবে। 

৫. নার্সদের পোর্টালে পেশেন্ট  কেয়ার টেকনোলজিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, ২০১৬ ও ২০২৩ সালের বিএনএমসি আইন অনুযায়ী প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

৬. সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সিং ফ্যাকাল্টি চালু করতে হবে। মন্ত্রণালয়ে নার্সিং প্রতিনিধি হিসেবে নার্সকে থাকতে হবে। 

৭. নার্সিং সেক্টর থেকে প্রফেশনাল বিসিএস (সেবা ক্যাডার) চালু করতে হবে। 

৮. নার্সিং এর ড্রেসকোড পরিবর্তন করে সাদা করতে হবে।

 

এম হাসান

×