ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

আমরা সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ১১ জুলাই ২০২৪

আমরা সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত

সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা যত কমিয়ে আনা যায় ততই মঙ্গল এবং সরকার সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা গ্রাম পর্যায়ে কাজ করেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা মানুষদের, গর্ভবতী মায়েদের বোঝান তারা যাতে ঠিকমতো চেকআপ করেন। আমরা সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই। সিজারের সংখ্যা যত কমিয়ে নিয়ে আসতে পারব ততই মঙ্গল।
 
দেশে সিজারিয়ান অপারেশনের হার বাড়ছে বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে সিজারের সংখ্যা অনেক বেশি। নিয়মিত ও সময়মতো কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী মায়েরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে সিজারের সংখ্যা কমে আসবে।’ 
 
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সবার আগে আমি যেটা দেখি, সেটা হচ্ছে এএনসি কর্নার। আমি খোঁজ নিয়ে দেখি, গর্ভবতী মায়েরা কয়টা করে চেকআপ করছেন, কোথায় ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি হচ্ছে, কোথায় সিজারিয়ান বেশি হচ্ছে। অনেক জায়গায় বলেন, আগে সিজার হয়েছে; তাই সিজার করতে হবে। সেটা কোনো উত্তর হতে পারে না।  
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কেন হলো সেটার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি একেবারে মূল কারণ খুঁজে বের করে গোড়া থেকে কাজ করি তাহলে সিজারের সংখ্যা অবশ্যই কমিয়ে আনতে পারব।
 
পরিসংখ্যান বলছে, দুই দশক আগেও প্রসূতিরা সিজারে অনাগ্রহী ছিলেন। দিন যত যাচ্ছে, সি-সেকশনের প্রবণতা ততই বাড়ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের জরিপের তথ্য মতে, ২০০৪ সালে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ সন্তানের জন্মদান হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়। গত এক বছরের ব্যবধানে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
 
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভাবেন্দ্র সিং রঘুবংশী, পরিবার কল্যাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ প্রমুখ।

 এসআর

×