ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এবার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৭:২২, ১৮ জুলাই ২০২৩

এবার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

সেন্ট্রাল হাসপাতাল

চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই আবার অভিযুক্ত হলো রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল। এবার হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হাবিবা হীরা চৌধুরী নামে ছয় বছরের এক শিশু মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শিশুটির মা অ্যাডভোকেট সুফিয়া পারভীন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুফিয়া পারভীন বলেন, হীরা আমার একমাত্র সন্তান। মাত্র ছয় বছর বয়সী হীরা পড়ত ওয়াইডব্লিউসি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে। পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলে একটি কোর্সও করত। শরীরে জ্বর নিয়ে গত ৭ জুলাই সেন্ট্রাল হসপিটালে ৪২২ নম্বর কেবিনে অধ্যাপক এ এফ এম সেলিমের তত্ত্বাবধানে হীরাকে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়লে প্রথমে স্যালাইনের সঙ্গে জ্বরের ওষুধ প্রয়োগ করেন চিকিৎসকরা। ওই রাতেই হীরাকে স্যালাইনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। পরে ‘রোফেসিন’ নামক উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়।

শিশুটির মা বলেন, এভাবে কয়েক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পর আমার মেয়ের লিভার ড্যামেজ হতে থাকে। তার পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসতে শুরু করে। কিন্তু হাসপাতালে বিষয়টি জানানোর জন্য নার্স ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না। চারটি ফ্লোরের জন্য একজন ডিউটি ডাক্তার থাকেন। বসেন সপ্তম তলায়, খুঁজতে গেলে বেশিরভাগ সময় পাওয়া যায় না। অধ্যাপক সেলিম ভর্তির পর থেকে মাত্র তিনবার ডিউটি রোগীর কাছে এসেছেন। এখানে চিকিৎসকই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুফিয়া পারভীন বলেন, গত ১০ জুলাই রাতে ডাক্তার আমার মেয়েকে দেখতে এসে তার ব্লাড প্রেসার ও পালস পাচ্ছিলেন না। এরপর আমাদের বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো না। তাকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউ সাপোর্ট দিতে হবে। সেই ব্যবস্থা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেই। তাদের পরামর্শে আমার সন্তানকে রাত ১১টার দিকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বেশকিছু পরীক্ষার মধ্যে ফেরিটিন নামক একটি পরীক্ষা দেওয়া হয়। যেখানে একজন শিশুর ফেরিটিনের মাত্রা ৭ থেকে ১৪০ থাকার কথা সেখানে হীরার ফেরিটিন ধরা পড়ে ২১ হাজার ৪৮৩। শ্বাস, হার্টসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। এ রিপোর্ট দেখেই সেখানকার চিকিৎসকরা বিড়বিড় করে বলে বসেন- সব তো শেষ করে নিয়ে আসছেন। রোগীর লিভার ফাংশন পুরো শেষ হয়ে গেছে। তারপর পিআইসিইউ নিয়ে চেষ্টা শুরু করেন তারা। কিন্তু আমার মেয়েকে আর বাঁচাতে পারেনি।

তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অবহেলার জন্য তাদের শাস্তি দাবি করেন।
 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×