মারমুখী ব্যাটিং বাংলাদেশের
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াল বাংলাদেশ। স্পিনার- পেসারদের বোলিং দাপটে জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টাইগাররা জিতল ১০৫ রানে।
বুধবার (১০ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করেছে ১৫১ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার তাকুজওনাসে কাইতানো (০) এবং তাদিওনাসে মুরুমানি (১) ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি মিরাজের বলে। টপ অর্ডারে তাইজুল ইসলামের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ১০ রানে উইকেট হারান ইননোসেন্ট কায়া। টনি মুনুঙ্গাকে তিনি ফেরান ১৩ রানে।
অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা এবাদত হোসেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে পরপর ওয়েলসি মাধেভেরে (১) ও সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়েছেন। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রাজা গোল্ডেন ডাক মেরেছেন। মিডল অর্ডারে লুক জঙ্গুকে ১৫ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান মোস্তাফিজুর রহমান। রিচার্ড এনগারাবা অপরাজিত ৩৪ রানে। ভিক্টর নিয়াউচি ২৬ রানে আউট হন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৫ ওভার ২ বল খেলে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই উইকেট করে পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও অভিষিক্ত এবাদত হোসেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ করেছে ২৫৬ রান। তবে এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসাইনের ব্যাট থেকেই আসে সর্বোচ্চ রান। এই দুই ব্যাটার ধারাবাহিকভাবে স্কোর বোর্ডে জমা করেন ৭৬ ও ৮৫ রান।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ৫১ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। নবম ওভারে রান আউট তামিম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৩০ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক।
তামিমের বিদায়ের পর উইকেট হারান নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুইজনই শূন্য রানে বিদায় নেন। বিপদে পড়া বাংলাদেশের হয়ে এক প্রান্তে লড়াই করে গেছেন বিজয়। তবে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা বিজয় শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি।
এরপর ব্যাট করতে নামা আফিফ হোসাইনের সঙ্গে ধীরগতিতে এগোতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তার টেস্ট ধাচের ইনিংস এসে থামে ৩৫তম ওভারে। ৬৯ বলে ৩৯ রান করে ফিরতে হয় সাজঘরে।
সাতে ব্যাট করতে নামা মিরাজকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ লড়ে যান আফিফ। ৪৭ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন তরুণ দুই ব্যাটার। সিকান্দার রাজার বলে মিরাজ এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। ১৪ রান করে বিদায় নেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর ক্রিজে নেমে থিতু হতে পারেননি তাইজুল ইসলামও। ৫ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শেষদিকে এসে পরপর উইকেট হারান হাসান মাহমুদ (১), মোস্তাফিজুর রহমান (০)। ৮১ বলে ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেন ব্র্যাড ইভান্স ও লুক জঙ্গে। একটি করে উইকেট পান রিচার্ড এনগারাবা ও সিকান্দার রাজা।
এসআর