ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য বিভাগের সব খবর

স্ট্রেস মোকাবিলা

স্ট্রেস মোকাবিলা

০ খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করুন : খারাপ অভ্যাস যেমন অধিক মদ্যপান, ধূমপান, জুয়া খেলা অতি খাদ্যগ্রহণ ইত্যাদি ত্যাগ করুন। এই কুঅভ্যাসগুলো অযথা আপনার মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ০ ছোট ঘুম দুপুরে : দুপুরে ১০ থেকে ৪৫ মিনিটের একটি ছোট ঘুম দিন। আপনার শারীরিক মানসিক বল কাজ করার ক্ষমতা ও মেধাকে উজ্জীবিত করে। ০ রাগকে দমন করুন : অসতর্ক রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ শরীরের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করে নার্ভের ওপর চাপ বাড়ে। হার্ট ও রক্তনালীর ক্ষতিসাধন করে এমনকি হঠাৎ মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ০ কিছুক্ষণের জন্য পলায়ন : ঘটনাগুলো আপনার আয়ত্তের বাইরে অথবা আপনি খুবই মানসিক চাপে আছেন তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও ছুটি নিন এবং স্থির হোন। ০ আপনার মনের অনুভূতিকে প্রিয়জনের কাছে প্রকাশ করুন। হালকা হোন। তা না হলে অদমিত অনুভূতি আপনার স্নায়ু বিকলের কারণ হতে পারে।

কিভাবে ভালোবাসা আপনাকে স্বাস্থ্যবান রাখে

কিভাবে ভালোবাসা আপনাকে স্বাস্থ্যবান রাখে

১. ভালোবাসা অধিকতর শক্তি যোগায় শারীরিক ও মানসিক ভালোবাসা উভয়ই আপনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান রাখে, আপনার  বিকেলগুলোকে উজ্জীবিত করে। ২. আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে উজ্জীবিত করে ভালোবাসার ফলে ব্রেনে ডোপামিন নিঃসৃত হয়, ফলে মানসিকভাবে আপনি উজ্জীবিত হবেন। ৩. মাসিককে নিয়ন্ত্রণ করে যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের ক্ষেত্রে ভালবাসা   বা স্পর্শসুখ আপনার ইস্ট্রোজেন হরমোনকে বর্ধন করে  ফলে মাসিক নিয়মিত হয়। ৪. ভালবাসা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ৫. ভালবাসার স্পর্শ ব্যথার অনুভূতিকে কমিয়ে দেয় : গবেষকরা দেখেছেন ইলেক্ট্রিক শকের পর পোড়ার যন্ত্রণা কমে যায় যদি সে তার প্রেমিকার স্পর্শ পায়। ৬. ভালবাসা আপনাকে শারীরিকভাবে সক্ষম রাখে : দেখা যায় যখন আপনি আপনার ভালবাসার পক্ষের সঙ্গে জিমে ব্যায়াম করেন তখন আপনার ওজন দ্রুত কমে, আপনার কর্মক্ষমতা ১৫% বেড়ে যায়। ৭. আপনার ত্বক সুন্দর রাখে ভালবাসা : ভালবাসার আবাহন আপনার ত্বককে স্বচ্ছ করে আপনার ব্রন ও কালো দাগ কমিয়ে দেয় ৮. ভালবাসা আপনার হার্টকে মজবুত রাখে : হৃদয়ের সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের সম্পর্ক সুগভীর, হাসি আনন্দ ভালবাসা আপনার স্ট্রোক হরমোনকে কমিয়ে দেয় এবং তা একটি স্বীকৃত উপকারী ফ্যাক্টর আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বার্থের জন্য। ৯. ভালবাসা দীর্ঘজীবিকা দান করে : সিডিসির ২০০৪-এর সমীক্ষায় দেখা যায়, সুখী দম্পতিরা বাঁচে বেশিদিন। সুতরাং : অধিকতর ভালবাসতে শিখুন ভালবাসুন বাঁচতে এবং বাঁচাতে।

সিজারিয়ান পরবর্তী পরামর্শ

সিজারিয়ান পরবর্তী পরামর্শ

ইদানীং সিজারিয়ানের হার বেশ বেড়ে গেছে। সিজারিয়ান পরবর্তী সময়ে মাকে অবশ্যই নিজের কিছু যত্ন নিতে হবে। কারণ সঠিক পরিচর্যা ও পরামর্শ অনুযায়ী না চলে তবে সিজারিয়ান মাকেই অনেক অহেতুক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। যা তার কাম্য নয়। প্রথমত, সিজারিয়ান মাকে সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। রাতে ৮ ঘণ্টা এবং দিনে ২ ঘণ্টা মোট ১০ ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে। অনেকে বাচ্চার জন্য রাতে ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারেন না সেক্ষেত্রে বাচ্চা যখন ঘুমাবে তখন আপনিও ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। সিজারের পর বেশ কিছুদিন পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। সেই সময় ব্যথার ওষুধ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে। সিজারের পরবর্তী ৩ মাস ভারি কাজ করবেন না। তবে স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যাবে। ড্রেসিং খুলে দেয়ার পর নিয়মিত গোসল করবেন এবং কাটা স্থানে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। অনেকেই মনে করেন কাটা স্থানে সাবান বা পানি লাগানো যাবে না এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ড্রেসিংয়ের পর সাধারণত ডাক্তার একটা মলম লিখে দেন সেটা কাটা স্থানে দিনে ২ বার ৭ দিন লাগাবেন। অনেকের কাটা স্থানে একটু চুলকায় আর চুলকাতে চুলকাতে কাটা স্থান ফুলে যায় আবার একটু পানি পানি কষ বের হতে দেখা যায় যদি কারও এই রকম হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অনেকের এ্যালার্জির কারণেও এটা হতে পারে। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে বিশেষ কোন খবারÑ যেমন গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, পুঁইশাক ইত্যাদির কারণে কাটা স্থানে চুলকানি বাড়ে তবে তা পরিহার বা খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। ইদানীং আধুনিক চিকিৎসার দরুন কসমেটিক সিজারিয়ান করানো হয় এতে সেলাই খোলার পর অর্থাৎ ড্রেসিংয়ের পর পরই কাটা স্থান শুকিয়ে যায়। আর কাটা স্থানে তেমন কোন দাগ থাকে না বা তেমনভাবে  বোঝা যায় না। তবে কাটা স্থানে দাগ না হওয়ার জন্য এক রকম জেল পাওয়া যায় ওটা ব্যবহার করতে পারেন। আর ২ বছরের মধ্যে যেন ঈড়হপরাব না করেন সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।

দাঁতের আধুনিক চিকিৎসা

দাঁতের আধুনিক চিকিৎসা

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে হবে। তাই সময় মতো দাঁতের যত্নে যত্নশীল হতে হবে। ক্যারিজ কি? ক্যারিজ বা আঘাতের কারণে দাঁতের স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয় কিংবা দন্তমজ্জা বা পাল্পে ইনফেকশন হয়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। রুট ক্যানেল চিকিৎসা যে কারণে অনেক সময় দেখা যায়, ক্যারিজ শুধু রোগীর দাঁতের অ্যানামেল বা ডেন্টিনের সামান্য অংশে ছড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই অংশটুকু পরিষ্কার করে শুধু ফিলিং করে দিলেই চলে। কিন্তু যদি দেখা যায়, ইনফেকশন দাঁতের দন্তমজ্জা পর্যন্ত ছড়িয়েছে এবং রোগী তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন অথবা কোনো ধরনের আঘাতে রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দাতের রং বদলে যাচ্ছে; সে ক্ষেত্রে রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজন। সতর্কতা : ভীতি রুট ক্যানেল চিকিৎসা নিয়ে অহেতুক অধিকাংশ রোগী রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট অপেক্ষা দাঁত ফেলে দেওয়াকে বেশি পছন্দ করেন। এর অন্যতম কারণ হলো ব্যথার ভয়। অথচ মজার ব্যাপার হলো, রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টে ব্যথা পাওয়ার কিছু নেই। একজন দন্ত বিশেষজ্ঞ যদি কাজ শুরুর আগে রোগীর আক্রান্ত চোয়াল লোকাল অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে সঠিকভাবে অবশ করে নেন, তাহলে ব্যথা অনুভব করার কথা নয়; বরং কারণ ছাড়া দাঁত ফেলে দিলে পরে ওই জায়গার আশপাশের দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়া, কথা বলতে ও খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যাসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। রুট ক্যানেল-পরবর্তী চিকিৎসা রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টে দাঁতের ভেতরের দন্তমজ্জা বের করে দাঁতটি মৃত করে ফেলা হয়। ফলে দাঁত খুব সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এ জন্য দাঁতের ওপর এক ধরনের কৃত্রিম মুকুট পরানো হয়, যাকে ক্রাউন বা ক্যাপ বলে। এটি মৃত দাঁতের স্থায়িত্ব অনেক বছর বাড়িয়ে দেয়। দাঁতে ক্রাউন যেভাবে করা হয় : রুট ক্যানেলের পর দাঁতটি কেটে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। এর পর দাঁতটির সঠিক ছাপ নিয়ে সেটি ডেন্টাল ল্যাব থেকে ওই আকৃতির ও ধরন বুঝে ব্যাবস্থা নিতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপে ব্যায়াম

উচ্চ রক্তচাপে ব্যায়াম

উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ব্যায়ামের ধরন : বর্তমান সময়ে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বহু মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কি ধরনের ব্যায়াম করবেন? : ১. হাঁটাহাঁটি  বা দৌড়ানো ২. সাইকেল চালানো ৩. সাঁতার  কাটা ৪. খেলাধুলা করা ৫. বাগানে কাজ করা ৬. সিঁড়ি দিয়ে ওঠা / হাইকিং ৭. নাচ কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন? : সপ্তাহে প্রতিদিন অথবা ন্যূনতম ৫ দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। একটানা ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে ১০ মিনিট করে দিনে ৩ বার ব্যায়াম করেও সমান সুফল পাওয়া যাবে। ব্যায়ামের সুফল কি? : আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি অনুযায়ী মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ মি. মি. পারদ। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে সিস্টোলিক রক্তচাপ ৩ থেকে ৬ ইউনিট এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৪ থেকে ১২ ইউনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১ থেকে ৩ মাস নিয়মিত ব্যায়াম করার পরে এই সুফল লক্ষ্য করা যায় এবং যতদিন ব্যায়াম করা যায় ততদিন এই সুফল বজায় থাকে। ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন? ১. হার্টের  কোনো রোগ জানা থাকলে যেমন হার্ট অ্যাটাক ২. যদি ফুসফুসে কোন রোগ থাকে ৩. যদি পরিবারের পুরুষ সদস্যের ৫৫ বছর বা মহিলা সদস্যের ৬৫ বছর বয়সের পূর্বে হার্টের রোগ বা হঠাৎ মৃত্যুর ইতিহাস থাকে। ৪. নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলে ৫. শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত না থাকেন। কি লক্ষণ দেখা দিলে ব্যায়াম বন্ধ করবেন?: ১. বুকে, গলায়, চোয়ালে বা বাহুতে ব্যথা/ চাপ অনুভব করলে। ২. অতিরিক্ত/অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট হলে ৩. মাথা ঘোরালে ৪. হৃৎস্পন্দন/ হার্টবিট অনিয়মিত হলে ব্যায়ামের অভ্যাস ধরে রাখার উপায় : আমরা অনেকেই ব্যায়াম শুরু করি কিন্তু নানা কারণে ব্যায়ামের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি না। এক্ষেত্রে নিচের উপায়গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ১. ব্যায়ামকে মজার করে তুলুন ২. দৈনন্দিন কাজের রুটিনের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যায়ামের জন্য সময় নির্বাচন করুন ৩. ব্যায়ামে কাউকে সঙ্গে নিন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম করার জন্য জিম এ ভর্তি হওয়া বা দামি যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজন নেই, উপরের যে কোন এক বা একাধিক ব্যায়াম নিয়মিত করবেন। ব্যায়াম খাদ্য-ভ্যাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা উচিত।

ত্বকের সুরক্ষা ও যত্নে করণীয়

ত্বকের সুরক্ষা ও যত্নে করণীয়

মধু ও লেবুর রস:  ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা আনার জন্য মধু ও লেবুর রসের তৈরি ফেসপ্যাক খুব উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে পুরো মুখমণ্ডল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আধা চামচ মধু ও পরিমাণ মতো সতেজ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রস ত্বকের মৃত কোষগুলোকে  সরিয়ে ফেলে এবং ত্বকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’ এর জোগান দেয়। এ ছাড়া, এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং bacteria ধ্বংস হয়। এই মিশ্রণটি মুখের মেছতা দূর করতেও বেশ সহায়ক। তবে  allergy জনিত  সমস্যা  থাকলে  এই প্যাক ব্যবহার না করাই  ভালো। কাঠ  বাদাম : কাঠ বাদামে থাকা vitamin D3, magnesium  চুল পড়া  রোধ করে। এই বাদামে রয়েছে প্রচুর  Vitamin E। এই Vitamin E এর ফলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়, ত্বকের রুক্ষতা, শুষ্কতা দূর হয়। এই বাদাম ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক moisturizer হিসেবে কাজ করে। কলা : Minerals- এ ভরপুর  কলার খোসা  ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। কলায় fatty acid এর পযধরহ রয়েছে। ত্বকে কলার খোসা ঘষলে, ত্বকের কালো দাগ দূর হবে, ব্রণ উঠবে  না। ত্বক  আগের চেয়ে  সজীব ও টান টান  হবে। হলুদ : ত্বকের জন্য হলুদ বেশ উপকারি। গায়ে হলুদ মাখার কিছুক্ষণ পর গোসল করলে ত্বকের লাবণ্য ফুটে ওঠে। লাল শাক : ত্বকের নানা সমস্যা যেমন, র‌্যাস (rash), চুলকানি  ইত্যাদি দূর করতে  লাল শাক অত্যন্ত কার্যকর।   কারিশমা  কাস্তুরি (Pharmacist) সূত্র- (বই পুস্তক, ইন্টারনেট)

চিনিআসক্তি ও এর ক্ষতিকর প্রভাব

চিনিআসক্তি ও এর ক্ষতিকর প্রভাব

চিনির আসক্তি এবং চিনির বিষাক্ততা উভয়ই অত্যধিক চিনি খাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবকে নির্দেশ করে, তবে তারা বিভিন্ন উপায়ে শরীরকে প্রভাবিত করে। চিনির আসক্তি খাদ্যের সঙ্গে গৃহীত চিনি মস্তিষ্কের প্রাপ্যতার সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে, ডোপামিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে, ঠিক নেশাজাতীয় দ্রব্যের সৃষ্ট আসক্তিযুক্ত মতো। নিয়মিত প্রচুর চিলিযুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহে একটি ভিসিয়াস সাইকেল তৈরি করে, যেখানে একই স্তরের সন্তুষ্টি অনুভব করার জন্য শরীর আরও চিনির দাবি করে। যদিও চিনি অনেক খাবারের একটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং শক্তির জন্য অপরিহার্য, অতিরিক্ত সেবন-বিশেষ করে যোগ করা শর্করা-বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এখানে চিনির বিষাক্ততার কিছু মূল দিক রয়েছে : ১। বিপাকীয় স্বাস্থ্য সমস্যা দৈহিক স্থূলতা : অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ, বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার জন্য একটি প্রধান অবদানকারী। টাইপ ২ ডায়াবেটিস : উচ্চ চিনির ব্যবহার ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের বিকাশের একটি মূল কারণ। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ : ফ্রুক্টোজ, টেবিল চিনির একটি উপাদান (সুক্রোজ) এবং উচ্চ-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ, লিভারে বিপাক হয়। অতিরিক্ত সেবনের ফলে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (ঘঅঋখউ) হতে পারে। ২। কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হৃদরোগ : উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ এবং অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রাসহ হৃদরোগের ঝুঁঁকি বাড়ার সঙ্গে উচ্চ চিনি গ্রহণের সম্পর্ক রয়েছে। স্ট্রোক : অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁঁকিতে অবদান রাখতে পারে। ৩। দাঁতের  স্বাস্থ্য ঝুঁঁকি দাঁত ক্ষয় : চিনি গহ্বর এবং দাঁতের ক্ষয়ের একটি প্রাথমিক কারণ, কারণ এটি মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া খায়। ৪। স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্মরণ শক্তির হ্রাস : কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে উচ্চমাত্রার চিনি খাওয়া স্মৃতিশক্তি নষ্ট করতে পারে এবং আলঝেইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁঁকি বাড়ায়। মুড ডিসঅর্ডার : অত্যধিক চিনি খাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের ঝুঁঁকির সঙ্গে যুক্ত। ৫। আসক্তি এবং লালসা চিনি মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণকে ট্রিগার করতে পারে, যা আসক্তির মতো আচরণ এবং লোভের দিকে পরিচালিত করে, এটি গ্রহণ কমানো কঠিন করে তোলে। ৬। প্রদাহ এবং রোগ প্রতিরোধ (ইমিউন সিস্টেম) দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ চিনি গ্রহণ প্রদাহকে উন্নীত করতে পারে, যা বাত এবং কিছু ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে যুক্ত। এটি ইমিউন সিস্টেমকেও দুর্বল করে দিতে পারে, যা শরীরকে সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে। ৭। অপুষ্টির ঝুঁঁকি অত্যধিক চিনি খাওয়া খাদ্যে পুষ্টিকর-ঘন খাবারগুলোকে স্থানচ্যুত করতে পারে, যার ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলোর ঘাটতি দেখা দেয়। কীভাবে চিনির বিষাক্ততা হ্রাস করা যায় শর্করা সীমিত করুন : আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ৬  চা চামচ (২৫ গ্রাম) এবং পুরুষদের জন্য ৯  চা চামচ (৩৮ গ্রাম) এর বেশি চিনি না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। প্যাকেটের গায়ের লেবেলগুলো পড়ুন : প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন সস, রুটি এবং মসলাগুলোতে লুকানো শর্করা সম্পর্কে সচেতন হন। রো খাবার বেছে  নিন : ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিনের মতো সম্পূর্ণ, অপ্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন : সোডা, এনার্জি ড্রিংকস এবং মিষ্টি চা পানি, ভেষজ চা বা মিষ্টি ছাড়া পানীয় দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন। পরিশেষে, যদিও চিনি স্বাভাবিকভাবেই পরিমিতভাবে বিষাক্ত নয়, অত্যধিক সেবন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। যোগ করা চিনি খাওয়া কমানো এবং একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এই ঝুঁঁকিগুলো প্রশমিত করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।