ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য বিভাগের সব খবর

আরও দুই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন

আরও দুই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন

দেশের আরও দুটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মাদারীপুর ও জামালপুরের শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির নাম পরিবর্তন করে জেলার নামে নামকরণ করা হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ছয়টি মেডিক্যাল কলেজ, ৩ নভেম্বর ১৪টি সরকারি হাসপাতাল এবং ১৯ নভেম্বর আরও তিনটি মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়। গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজ গড়ার নামে অনুমোদন পেয়েছে ২০ টি হাসপাতাল। এর মধ্যে ৩টার নামই শেখ হাসিনার নিজের নামে। অপর একটি তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এগুলোর মধ্যে ২০১০ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ, ২০১৫ সালে মুগদা মেডিকেল কলেজ, ২০১১ সালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, একই বছর সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও ২০১৩ সালে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ, ২০১৪ সালে টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এবং জামালপুরেও একই নামে আরেকটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জে পরপর পরপর দুইটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর একটি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং অন্যটি কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ। ২০১৪ সালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজও প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই বছর পাবর্ত্য অঞ্চল রাঙ্গামাটিতেও প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মেডিকেল কলেজ। পরে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ, নীলফামারি মেডিকেল কলেজ, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ, মাগুরা মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজসহ সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এগুলোর বেশিরভাগ হাসপাতারেই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ব্রয়লার মুরগি খাওয়া কি ক্ষতিকর না নিরাপদ?

ব্রয়লার মুরগি খাওয়া কি ক্ষতিকর না নিরাপদ?

ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্য। দৈনন্দিন খাবারে মুরগির মাংসের ভোজ অনেক পরিবারের রুটিনের অংশ হয়ে উঠেছে। তবে একাধিক স্বাস্থ্য গবেষণায় ব্রয়লার মুরগির মাংস নিয়ে কিছু বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ব্রয়লার মুরগি খাওয়া স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিকর হতে পারে। আবার কিছু মানুষ এর বিপরীতে দাবি করেন, সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হলে এটি মোটেই ক্ষতিকর নয়। তাহলে আসলেই কি ব্রয়লার মুরগি খাওয়া নিরাপদ, নাকি এতে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে? আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ব্রয়লার মুরগির গুণাগুণ ব্রয়লার মুরগির মাংস প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন বি৬ এবং নিকোটিনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি দেহের পেশি গঠন এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য উপকারী হতে পারে। একাধিক পুষ্টি বিশেষজ্ঞের মতে, ব্রয়লার মুরগি সঠিকভাবে রান্না করলে এটি স্বাস্থ্যকর হতে পারে এবং এটি একটি ভাল প্রোটিন সোর্স হিসেবে কাজ করে।

কফি কি হার্ট এ্যাটাক রোধ করে 

কফি কি হার্ট এ্যাটাক রোধ করে 

একটি গবেষক দল ২৫ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালায়। এই নারী-পুরুষের গড় বয়স ছিল ৪১ বছর। তাদের কারোরই পূর্বে হৃদরোগ ছিল না। ২৫ হাজার নারী-পুরুষের কফি পানের পরিমাণ ছিল দিনে ১ কাফও না, দিনে ১ কাফ, দিনে ১ থেকে ৩ কাপ, ৩ থেকে ৫ কাপ দিনে ও দিনের ৫ কাপের উর্ধে। গবেষকরা দেখলেন যারা দিনে ৩ থেকে ৫ কাপ কফি পান করেছে তাদের শরীরে হৃদরোগের চিহ্ন খুবই কম। সিওলের ক্যাংবুক স্যামসা হাসপাতালে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণায় এই বলে উপসংহার টানা হয়, কফি পান বেশি করলে হৃদরোধ কম হয়। অবশ্য এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখেছিলেন : নর-নারীদের শিরা-উপশিরায় দৃশ্যমান ক্যালসিয়াম জমাট কার হতো। এই ক্যালসিয়াম জমাটই হৃদরোগের চিহ্ন বলে মনে করা হয়। কফি পান এই দৃশ্যমান ক্যালসিয়াম জমাট কমিয়ে দেয়।

ফুসফুস ভালো রাখতে কিছু ভেষজ 

ফুসফুস ভালো রাখতে কিছু ভেষজ 

১। তুলসী পাতা : এই পাতা ফুসফুসের জন্য বেশ উপকারি। ৫/৬টা তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে সকালে খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এবং রাতে খাবারের ১ ঘণ্টা পর খুব ভালোভাবে চিবিয়ে বা রস করে বা থেঁতো করে খেতে পারলে এটি ফুসফুস ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী হবে। তুলসী পাতা এভাবে খাওয়ার পর অবশ্যই ১/২-১ কাপ হালকা গরম পানি খেতে হবে। এই তুলসী পাতা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ও ফসফুস ভালো রাখতে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই খেতে পারেন। তুলসী পাতায় যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, তা ফুফফুস সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুব দ্রুত কাজ করে। বাতাসে ভেসে থাকা দূষিত পদার্থ ফুসফুস থেকে নিঃসরণ করতে এই পাতা খুব কার্যকর। ২। গ্রিন টি : গ্রিন টি তে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের প্রদাহ প্রায় ৯৯% কমিয়ে আনে এবং এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। গ্রিন টি পান করার সর্বোৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে, যে কোনো খাবার (সবধষ) খাবার ১ ঘণ্টা আগে বা পরে। খাবার খাওয়ার আশপাশে বা খালি পেটে গ্রিন টি বা অন্য কোনো চা পান করা যাবে না। এতে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চা পান করতে হলে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে হবে। কখনো রাতে ঘুমাবার আগে চা পান করা যাবে না। ৩। কাঁচা হলুদ : হলুদে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসকে প্রতিনিয়ত দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে রক্ষা করে চলে। হলুদ খাওয়ার ৫/৭ দিনের মধ্যেই ফুসফুসের কার্যকারিতা ফিরে আসবে। এটাকে ধরে থাকতে টানা ৩-৬ মাস খেতে হবে। কাঁচা হলুদ খেতে হলে ১ ইঞ্চি পরিমাণ নিতে হবে। আর গুঁড়া হলে চা চামচের ১/৩ ভাগ পরিমাণ খেতে হবে সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে। ৪। বড় এলাচ বা কালো এলাচ : এটি ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারি। ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি, হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগে বেশ কার্যকর। একটি বড় এলাচের সব কয়টা দানা নিয়ে গুঁড়া করতে হবে। এরপর এক কাপ হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে আহারের ৩ ঘণ্টা পর সেবন করতে হবে।  সূত্র : বই-পুস্তক, ইন্টারনেট, ছবি : ইন্টারনেট)

পুরুষের যৌন রোগ

পুরুষের যৌন রোগ

শরীরের অন্যান্য রোগের মতোই এটা একটি রোগ। কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই কেউ এ রোগের কথা স্বীকার করতে চান না আমাদের দেশে। যৌন রোগে আক্রান্ত হলেও এ বিষয়টি সহজে কারও কাছে বলতে চান না, এমনকি চিকিৎসকের কাছে পর্যন্ত অনেক বিষয় গোপন করেন। এতে চিকিৎসকের চিকিৎসা করতেও সমস্যা হয়ে যায়। আর যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তিনিও নানা ধরনের জটিলতায় ভোগেন। যৌন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা নারী-পুরুষ সবার জন্যই জরুরি। খেয়াল রাখা জরুরি যৌন রোগ আক্রান্ত পুরুষ মিলনের সময় তার সঙ্গীর দেহে এসব রোগ সংক্রমিত করে। এ কারণে এগুলোকে যৌন সংক্রমিত রোগ বলা হয়। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এসব রোগ যাদের আছে, অনেক সময় তারা তা জানেন না অথবা এ রোগের প্রতি কোনো নজর দেন না। তাই সমস্যা দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গম করলে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিরোধ : যৌন রোগ-প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দরকার সেটা হলো, যৌবনের শুরুতেই তরুণদের এ বিষয়ে জ্ঞান লাভে সহায়তা করা। তরুণ, যুবকদের থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে নানা প্রকার যৌন রোগ হওয়ার কারণ এবং এগুলোর মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে। এই রোগ-প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। # বহুগামিতা দূর করতে হবে। # গোপন স্থান সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে সঙ্গমের পর। # চিকিৎসা নিশ্চিত করতে, যাতে এই রোগ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। # কনডমের সঠিক ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে যৌনরোগ প্রতিরোধ করে। # কেউ যদি মনে করেন তার যৌনরোগ আছে, তাহলে শিগগিরই সম্ভব পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করানো উচিত। শুরুতে যৌন রোগের চিকিৎসা করা সহজ, পরে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই সংক্রমণের চিকিৎসা যদি তাড়াতাড়ি করা না হয়, তাহলে পুরুষের মাধ্যমে নারীরা আক্রান্ত হবে। নারীদের জরায়ু, টিউব ও ডিম্ব কোষে সেটা সংক্রমণ হবে। এটা প্রথমদিকে সাংঘাতিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং পরে মহিলা বন্ধ্য হয়ে যেতে পারে। অথবা বারবার গর্ভ নষ্ট হতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা প্রসব করতে পারে। পুরুষের বেলায় অণ্ডকোষ আক্রান্ত হতে পারে। সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এ ছাড়া দেখা দিতে পারে আরও নানা ধরনের সমস্যা। তাই কেউ আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকই কোনো ধরনের সংকোচ না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

রোগের লক্ষণ মাথা ঘোরা

রোগের লক্ষণ মাথা ঘোরা

অনেকেরই হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘোরে। অথচ গুরুত্ব দেন না। অথবা বুঝতেই পারেন না এটা যে একটা রোগ বা রোগের লক্ষণ। এ রকম হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘোরার কারণে কেউ পড়ে যেতে পারে, দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। অনেক কারণে মাথা ঘুরতে পারে। বিশেষ করে কানের ভেতর ভেস্টিবুলোককলিয়ার নামক স্নায়ুতে সমস্যার কারণে মূলত মাথা ঘোরে। লক্ষণ : অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অন্তঃকর্ণের রক্তনালির অস্বাভাবিকতা, অন্তঃকর্ণের প্রদাহ, মেনিয়ারস রোগ, অস্বাভাবিক দৃষ্টিগত সমস্যা, অনেক উঁচুতে উঠে নিচের দিকে তাকালে এবং চলন্ত ট্রেন বা গাড়ি থেকে প্লাটফর্মের দিকে তাকালে মাথা ঘোরে। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, মাথার পেছন দিকে ও ঘাড়ের রক্তনালিতে বাধা বা রক্ত সরবরাহে ত্রুটি, মস্তিষ্কের নিচের দিকে টিউমার, মাল্টিপল সোরসিস রোগ, ভাইরাসজনিত ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস, মধ্যবয়সীদের মিনিয়ার্স রোগ, আঘাতের কারণে পেট্রাস হাড়ের ক্ষতি ইত্যাদি কারণেও মাথা ঘুরতে পারে।  কারও কারও রক্তে চিনির মাত্রা কমে গেলেও মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলেও মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়। মাথা ঘোরার পাশাপাশি কানের ভেতর শোঁ-শোঁ বা দপ দপ শব্দ হতে থাকে। কখনো-কখনো মাথার বা ঘাড়ের অবস্থান পরিবর্তন করলে সমস্যা বাড়ে ও কমে। যা করবেন : আচমকা মাথা ঘুরে উঠলে কোনোকিছু আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে পড়া ভালো। যাদের ‘বিনাইন পজিশনাল ভার্টিগো’ সমস্যা আছে, হঠাৎ ঘাড় বা মাথার অবস্থান পরিবর্তন করলে তাদের মাথা ঘোরা শুরু হয়। এ জন্য রাতে পাশ ফিরে না শুয়ে চিত হয়ে একটু উঁচু বালিশে মাথা দিয়ে শোবেন। হঠাৎ করে মাথা বা ঘাড় উঁচুতে টান টান করবেন না, মাথা ঝাঁকাবেন না। যে কাজ করার সময় মাথা ঘুরে উঠেছে, তা করা থেকে বিরত থাকা। চিত হয়ে শুয়ে পড়া। চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিক গতিতে শ্বাস–প্রশ্বাস নেওয়া। মাথা ঘোরা অব্যাহত থাকলে সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকা। গাড়ি চালাতে থাকলে দ্রুতই নিরাপদ অবস্থায় রেখে থামিয়ে দেওয়া। অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না। দীর্ঘসময় খাবার না খেলে এবং রক্তে চিনির মাত্রা কমে গেলে দ্রুত কিছু খেয়ে নিতে হবে। এ সময় বেশি বেশি তরল পান করাও দরকার। কিছু কিছু ওষুধ মাথা ঘোরার উপসর্গ সৃষ্টি করে। কোনো ওষুধ গ্রহণে এমন সমস্যা হলে চিকিৎসককে জানাতে হবে। চিকিৎসা : মাঝে মধ্যে মাথা ঝিমঝিম করলে বা ঘুরলে অবহেলা করা যাবে না। একজন নিউরো বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। কিভাবে মাথা ঘোরা শুরু হয়, হঠাৎ করেই শুরু হয় কি না, কতক্ষণ থাকে, মাঝে মধ্যেই হয় কি না। কানের উপসর্গ আছে কি না, অচেতন হয়ে পড়েন কি না, এসব ঠিকমতো চিকিৎসককে জানাতে পারলে সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রথমে কেন মাথা ঘুরছে তা নির্ণয় করা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসিজি, ইইজি, হল্টার মনিটরিং, মাথার সিটি স্ক্যান, ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো করেন। পাশাপাশি রোগীর পূর্ববতী রোগের ইতিহাস জেনে চিকিৎসক একটা ধারণা নেন। সে অনুয়ায়ী চিকিৎসা করেন। সেসঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। খাবারে বেশি লবণ না খাওয়া, মসলা, তেলযুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ভাত খাওয়া যাবে না। এর পরিবর্তে মৌসুমী শাক-সবজি ও ফল খাওয়া। নিয়মিত ব্যায়াম করা, সিগারেট ও মদপান বাদ দেওয়া, অতিরিক্ত রাত না জাগা, অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হার্টের অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।

শিশুরা কেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে?, অভিভাবকদের জন্য সতর্কবার্তা

শিশুরা কেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে?, অভিভাবকদের জন্য সতর্কবার্তা

৫ বছরের শিশুদের খেলার মাঠে ছুটে বেড়ানোর বয়সে হাসপাতালের করিডরে দিন কাটছে। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে ছোট্ট শরীরে। তাই ৩ বেলা শরীরে ফোটানো হচ্ছে সুচ, দিতে হচ্ছে ইনসুলিন। সেই সাথে দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়ার মতো শারীরিক জটিলতা তো আছেই। ডায়াবেটিস এই শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মধ্যবয়সী কারো চেহারা। অথচ বাংলাদেশে শিশুদের একটা বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সে তথ্য জানেন না অনেক অভিভাবক। সচেতনতার অভাব বা জন্মগতভাবেই রোগটি বাসা বাঁধে কোমলমতি’দের শরীরে। এতে শৈশব থেকেই নিয়মনীতির বেড়াজালে আটকা পড়ে ছোট্ট জীবন। সেইসাথে চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায়, সঠিক পরিচর্যা পায় না বহু শিশু। ফলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কয়েক হাজার খুদে প্রাণ। সাধারণত শিশুদের বেলায় টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস বেশি ধরা পড়ে। সেক্ষেত্রে সারাজীবন ইনসুলিন নিতে হয়। যার খরচও অনেক। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন শিশুর ব্যয় টানতে প্রতি মাসে একটি পরিবারের খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। যা বহু পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে। ইন্টারন্যাশনাল ডায়বেটিক ফাউন্ডেশন ২০২১ সালে একটি জরিপ করে। সে হিসেবে একদিন থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রতি ১ লাখে টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু প্রায় ৬ শতাংশ। প্রতিবছর যা বাড়ছে আশংকাজনক হারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সচেতনতা বাড়ালে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ অনেকাংশে সম্ভব। তবে নিয়ম মেনে চলতে হবে সারাজীবন। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে ডায়াবেটিসের ধরনেও। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা ব্যয় কমাতে, সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।