
ছবি সংগৃহীত
বন্যপ্রাণীর রাজ্যে যদি হঠাৎ মুখোমুখি হয় কিং কোবরা, মঙ্গুস ও র্যাটলস্নেক—তাহলে কে হবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী? চলুন এক ঝলকে দেখি তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষমতা ও দুর্বলতার তুলনা।
কিং কোবরা
বিশ্বের দীর্ঘতম বিষধর সাপ কিং কোবরা, যার গড় দৈর্ঘ্য ১০ থেকে ১৩ ফুট, আর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য রেকর্ড করা হয়েছে ১৮.৫ ফুট পর্যন্ত। এর ছোবল প্রাণঘাতী হলেও চলাফেরায় তুলনামূলক ধীর।
র্যাটলস্নেক
অন্যদিকে র্যাটলস্নেকও কম নয়—গড়ে ৩ থেকে ৬ ফুট লম্বা এই সাপও বিষধর, এবং হেমোটক্সিক বিষ দিয়ে শিকারকে অচল করে তোলে। তবে এগুলো কিং কোবরার চেয়ে ছোট।
মঙ্গুস
সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রতিদ্বন্দ্বী হলো মঙ্গুস। মাত্র ৯ থেকে ২৫ ইঞ্চি লম্বা হলেও, এর গতি, সাহস আর বিষধর সাপ মারার দক্ষতা একে ভিন্ন স্তরে নিয়ে গেছে। বিশেষ ধরনের শরীরগত বৈশিষ্ট্য— অ্যাসিটাইলকোলিন রিসেপ্টরের কারণে মঙ্গুস সাপের বিষে সহজে কাবু হয় না।
দুই সাপই শিকার ধরতে ঘাপটি মেরে থাকে, দ্রুত ছোবল মারে এবং বিষ ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু মঙ্গুসের প্রতিক্রিয়া সময় এতটাই কম যে এদের ধরা বেশ কঠিন। বাস্তবে অনেক সময় দেখা গেছে, মঙ্গুস কিং কোবরাকেও পরাস্ত করেছে।
তাই, যদি কোনো একদিন এই তিন প্রাণী একে অপরের মুখোমুখি হয়, তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলবেন—মঙ্গুসই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় বিজয়ী, কারন সে প্রথমে র্যাটলস্নেককে সরিয়ে দিয়ে তারপর কিং কোবরার ধীর গতির সুযোগ নিয়ে তাকেও হারিয়ে দেবে।
এ এক জঙ্গলের থ্রিলার—যেখানে ক্ষুদে হলেও, চটপটে বুদ্ধিমান শিকারি মঙ্গুসই হতে পারে চূড়ান্ত বিজয়ী।
আব্দুল্লাহ