পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পাহাড় ও টিলা কাটার মতো পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ড রোধে মনিটরিং ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র প্রণয়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, উচ্চ রেজোলিউশনের ওয়ার্ল্ডভিউ-৩ স্যাটেলাইটের ছবি (৩০ সেন্টিমিটার) ব্যবহার করে পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। ডিজিটাল টেরেইন মডেল (ডিটিএম) ব্যবহার করে এসব এলাকার সীমানা নির্ধারণ আরও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তোলা গুগল আর্থ স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে পাহাড় কাটার প্রভাব চিহ্নিত করা হয়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, ভূমি ব্যবহারের টেকসই পরিকল্পনা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সমন্বিত মানচিত্র এবং বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বন, নদী ও জলাভূমি সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পাহাড় কাটা ও পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ হেক্টরে হিসাব করা হচ্ছে। স্থানীয় সম্প্রদায়, সিএইচটি বোর্ড ও আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং টিম মাঠ পর্যায়ে যাচাই করবে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
এম.কে.