ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

সেন্টমার্টিনে নারিকেল নেই

নারিকেল গাছের পাতায় অজানা জীবাণু

প্রকাশিত: ১১:২৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

নারিকেল গাছের পাতায় অজানা জীবাণু

ছবি : সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন দ্বীপ, যা নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে তার অপার সৌন্দর্য এবং নারিকেল গাছের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমানে দ্বীপটির প্রকৃতি ও পরিচিতি হুমকির মুখে। সেখানে ক্রমশ কমে যাচ্ছে নারিকেল গাছের সংখ্যা। এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। 

সেন্টমার্টিন দ্বীপের নারিকেল গাছগুলোতে সম্প্রতি অজানা জীবাণুর আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এই জীবাণু গাছের পাতা শুকিয়ে ফেলছে এবং ধীরে ধীরে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জীবাণু গাছগুলোর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এবং দ্বীপের বাস্তুতন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জীবাণুর আক্রমণের লক্ষণ:
নারিকেল গাছের পাতাগুলো হলুদ বা বাদামী হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। পাতা ঝরে পড়ার হার বেড়ে গেছে। নতুন পাতা তৈরি হওয়ার গতি কমে গেছে। গাছের শিকড় ও কান্ড দুর্বল হয়ে পড়ছে।

জীবাণু আক্রমণের কারণ:

জলবায়ুর পরিবর্তন: সেন্টমার্টিনের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবাণু ও ছত্রাকের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অপরিকল্পিত পর্যটন: পর্যটকদের নিয়ে আসা বর্জ্য এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ জীবাণুর বিস্তার ত্বরান্বিত করছে।

লবণাক্ততার প্রভাব: সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি নারিকেল গাছকে দুর্বল করে তুলছে, যা জীবাণু সংক্রমণের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে।

অপ্রতুল রক্ষণাবেক্ষণ: নারিকেল গাছের সঠিক পরিচর্যার অভাবে এই সমস্যা আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।

সম্ভাব্য প্রভাব:
জীবাণুর কারণে নারিকেল ফল কমে যেতে পারে। নারিকেল দ্বীপের অন্যতম প্রধান সম্পদ, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। নারিকেল গাছের ক্ষতি হলে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

আক্রান্ত গাছের নমুনা পরীক্ষা করে জীবাণুর ধরন শনাক্ত করতে হবে। এছাড়া বায়োলজিক্যাল বা কেমিক্যাল স্প্রে দিয়ে জীবাণুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। দ্বীপে পর্যটকদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। নারিকেল গাছের জন্য বিশেষ পরিচর্যা প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। স্থানীয় কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।

সেন্টমার্টিনের নারিকেল গাছ শুধু দ্বীপের পরিচিতি নয়, এটি পরিবেশ ও অর্থনীতির অংশ। অজানা জীবাণুর আক্রমণ থেকে এই গাছগুলোকে রক্ষা করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। 

বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে দ্বীপটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্রঃ https://www.youtube.com/watch?si=Cjnllw3Qeffh7A2n&v=Om_JPG9U8NU&feature=youtu.be

শিলা ইসলাম

×