আজকাল অনেক নারীই চুল কালার করতে পছন্দ করেন
আজকাল অনেক নারীই চুল কালার করতে পছন্দ করেন। এতে চেহারায় আসে একটা ভিন্ন মাত্রার পরিবর্তন। চুলে নানা কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় এখন রং করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধরন হলো- কেপ স্টিক, ফয়েলাজ, বালেয়াজ, অম্বরে, সম্ভরে, হাইলাইটস, লো লাইটস্, এশ ব্লন্ড, ফাংকি কালার ইত্যাদিসহ অনেক ধরনের কালার। কেউ করে শখে আবার কেউ বা পাকা চুল ঢাকতে রঙ করে থাকেন। তবে আজকাল চুল পাকার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যা নরমাল হেয়ার কালার করার ১০-১৫ দিন পরেই আবার বের হয়ে আসে। সে ক্ষেত্রে হাই লাইটস কালার করার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাহলে পাকা চুল বেশি বোঝা যাবে না। কর্মজীবী মেয়েরাই এখন কালারটা বেশি করে।
একটা মেয়ের যখন চুলগুলো সুন্দর থাকে তখন তার আত্মবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদের উচিত সবসময় নিজেকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা। চুল রঙিন করলে দেখতে যেমন সুন্দর লাগে তার পাশাপাশি রঙিন চুলের যতœও অনেক বেশি করতে হয়। ঠিকঠাক মতোন রঙিন চুলের যতœ না করলে চুলের ভীষণ ক্ষতি হয়। তাই প্রতি মাসে পার্লারে গিয়ে একটু ট্রিটমেন্ট নিতে হবে অবশ্যই। সেটা চুলের রঙ, গ্রোথ ও বয়সের ওপর নির্ভর করে। শুধু পার্লারে নয়, বাসায় বসেও নিতে হবে রঙিন চুলের যতœ। এক্ষেত্রে কালার প্রটেক্ট শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সিরাম ব্যবহার করতেই হবে। তা না হলে চুল ড্যামেজ হয়ে যাবে এবং হেয়ার ফল বৃদ্ধি পাবে।
আর এখন তো শীতকাল চলে এসেছে। শীতে রঙিন চুলের যতœ আমাদের ত্বকের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় চুলেও আসে শুষ্ক/রুক্ষ্ম ভাব। শীতেই বেশি খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে অনেকেরই অতিরিক্ত চুল ঝরে। তাই ত্বকের পাশাপাশি শীতে চুলেরও বাড়তি যতœ দরকার। আর সেটা যদি হয় রঙিন চুল তা হলে তো আরও বেশি যতœ নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে পার্লারে এসে সার্ভিস নিতে চাইলে ব্রাজিলিয়ান ক্যারোটিন, বোটক্স, ওমেগা থ্রি, নেনোপ্লাস্টিয়া। এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের হেয়ার ট্রিটমেন্ট আছে। এই ট্রিটমেন্টগুলো হচ্ছে লং-টার্ম হেয়ার ট্রিটমেন্ট যা ২-৩ মাস চুলে থাকে। আরও আছে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট, কোলাজেন ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি।
তবে যদি পার্লারে না গিয়ে বাসায় ট্রিটমেন্ট করতে চান সে ক্ষেত্রে চুলে টকদই, লেবু, মধু মিশিয়ে অথবা পাকা কলা, মধু, অ্যালোভেরা জেল একত্রে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন। মেথির প্যাকও লাগাতে পারেন। তবে এই ধরনের হেয়ার প্যাক লাগানোর পরে অবশ্যই ভালো করে শ্যাম্পু করে হেয়ার মাস্ক বা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে এবং রঙিন চুলে কালার প্রটেক্ট সিরাম লাগাতে হবে।
তবে যারা পার্লারে গিয়ে চুল কালার করেন বা করবেন ভাবছেন তাদের জন্য ছোট্ট একটা পরামর্শ- অবশ্যই চুল কালার করার সময় খেয়াল রাখবেন চুলটা ব্লন্ড বা প্রি লাইটনিং করার পরে যেন কালার দেওয়া হয়। কারণ শুধু ব্লন্ডার এবং ডেভেলপার দিয়ে চুলটাকে প্রি লাইটনিং করলে (চুলটাকে জ্বালিয়ে) চুল ফুলে যায়, ড্যামেজ হয় এবং ভেঙে পড়ে। তাই চুলে অবশ্যই কালার লাগাতে হবে প্রি লাইটনিংয়ের পরে।
তাই হারিয়ে নয়, থাকতেই নজর দিন চুলের যত্নে।