দ্রুত পরিবর্তনশীল জলবায়ু মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করতে ধনী দেশ প্রতি বছর কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলার সরবরাহ করে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে একমত হতে পারে কিনা তার উপর এই বছরের জলবায়ু সম্মেলনের সাফল্য নির্ভর করে।
এ সম্মেলনের বিশেষজ্ঞদের স্বাধীন প্যানেলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশগুলোকে প্রতি বছর ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে হবে, অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও বেশি অর্থ প্রদানের ঝুঁকি নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনা তাদের প্রতিনিধি দল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। আর আলোচনায় তেল, গ্যাস ও কয়লার স্বার্থের উপস্থিতিও দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার, কিক দ্য বিগ পলিউটার্স আউট (কেবিপিও) জোটের কর্মীরা বলেন, জাপান তার প্রতিনিধি দলের অংশ হিসাবে কয়লা জায়ান্ট সুমিতোমোর কর্মচারীদের নিয়ে এসেছিল, কানাডায় তেল উৎপাদক সানকোর এবং ট্যুরমালাইন অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ইতালি শক্তি জায়ান্ট এনি এবং এনেলের কর্মচারীদের নিয়ে এসেছিল।
কেবিপিও জানায়, আলোচনার আনুষ্ঠানিক উপস্থিতির তালিকায় ১ হাজার ৭৭০ জনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি তদবিরকারী রয়েছেন।
শীর্ষস্থানীয় একদল জলবায়ু কর্মী সতর্কতাবাণী করে বএলন, 'বৈশ্বিক জলবায়ু প্রক্রিয়া দখল হয়ে গেছে এবং এটি আর উদ্দেশ্য পূরণের উপযোগী নয়।
তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, জাতিসংঘের সাবেক জলবায়ু বিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগুয়েরেস এবং শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু বিজ্ঞানীরা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জলবায়ু আলোচনায় জরুরি ভিত্তিতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তানজিলা