পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সচেতন করা হবে। এরপর শুরু হবে আইন প্রয়োগ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এখন আমরা শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যানবাহনে স্টিকার লাগাচ্ছি। সোমবারও ৫০০ স্টিকার দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চলবে। এরপর জরিমানার মতো আইন প্রয়োগে যাব।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও পানি দূষণ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার, গণমাধ্যম এবং জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে শুধু আইনের প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাংবাদিকদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনোযোগ রয়েছে, কিš‘ সচেতনতা ছাড়া সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, মানুষ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন শুরু করুক। প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ।
ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান জলবায়ু সম্মেলনে নিগোশিয়েশন টিম শক্তিশালী করা এবং স্থায়ী নিগোশিয়েটর টিম তৈরির পরামর্শ দেন। এছাড়া, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগের কথাও বলেন তিনি।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয়ের প্রস্তাব করেন এবং পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, বন উজাড় ও পাহাড় কর্তন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, সময়ের আলো পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, এনাজী এন্ড পাওয়ার এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ,সংবাদ প্রতদিনে এর সস্পাদক রমিন মাহফুজ, ডইেলি স্টার এর সাংবাদিক বাহারাম খান সহ ফোরামের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাওসার/শহিদ