ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

আজ বিশ্ব সাপ দিবস 

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১৬ জুলাই ২০২৪

আজ বিশ্ব সাপ দিবস 

সাপ

বিশ্ব সাপ দিবস আজ। সাপ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রচলিত ধারণা বৈজ্ঞানিক সত্যের মাধ্যমে ভেঙে সহাবস্থানকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১৬ই জুলাই এ দিবসটি পালন করা হয়।

অসাধারণ দেহকাঠামো এবং জীবনধারার অধিকারী সাপ খারাপ প্রাণী নয়, কিন্তু খারাপভাবে উপস্থাপিত। অন্যান্য প্রাণীর মতো সাপও মানুষের জন্য কিছু ভালো এবং কিছু খারাপ কাজ করে। দুর্ভাগ্যবশত সাপ সম্পর্কে অনেক কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধারণা আছে, যা ভাঙা সত্যিই কঠিন।

সাপকে এতটাই ঘৃণা করা হয় যে, অন্য কোনো প্রাণীকে মানুষ একই পরিমাণে ঘৃণা করে না। আমাদের সংস্কৃতি, ধর্ম, লোককথা, সাহিত্য, এবং সিনেমায় সাপকে প্রায়ই নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। ফলে সাপের প্রতি মানুষের বিরূপ ধারণা গড়ে ওঠে, যা সাপের প্রকৃত প্রভাব ও গুরুত্বের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সাপ প্রকৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরীসৃপ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের অহেতুক ভীতি ও কুসংস্কারের কারণে মারা পড়ে। প্রকৃতিতে সাপের ভূমিকা অপরিহার্য। সাপ শিকারি প্রাণী হিসেবে খাদ্যশৃঙ্খলে ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া ক্ষতিকর রোডেন্টজাতীয় প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণে ফসল রক্ষা করে। প্রাণীবাহিত সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমায়। অন্যদিকে, সাপের বিষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়।

দেশে বৈধ উপায়ে সাপের খামার তৈরির অনুমতি না থাকায় বৈধ উপায়ে সাপের বিষ রপ্তানিরও সুযোগ নেই। এ কারণে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার সাপের বিষ পাচার হচ্ছে দেশের বাইরে। বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ হচ্ছে কিং কোবরা। এর বিষ রসায়ন গবেষণাগারে একটি মূল্যবান উপাদান। কোবরার বিষ অনেক রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণাগারে বিক্রিয়ার প্রভাবক ও অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

মানবজীবনে সাপের অনেক অবদান থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ সাপকে ভয় পায়। সাপ দেখলেই মেরে ফেলে। যদিও বিষধর সাপের সংখ্যা খুবই কম। কাজেই সাপকে ভয় না পেয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

 

শহিদ

×