সোহেল তাজ
রাজধানীসহ সারাদেশে বিষাক্ত বাতাসে প্রতিদিন হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বলে জানিয়ে ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
সোমবার রাতে (১৭ অক্টোবর) উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্টে তিনি বলেন, অথচ কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই কোথায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)? কোথায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়?
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কোথায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ? সিটি কর্পোরেশনের মেয়রবৃন্দরা কোথায়? তাদের কাজটা আসলে কি?
পোস্টের নিচে বুরবুল আহমেদ কাজল নামে একজন কমেন্টস বক্সে লিখেছেন, দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়িত্বহীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তাই এ রকম পরিস্থিতি। কখনো কখনো মনে হয় রাষ্ট্র অভিভাবকহীন। এ রকম বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধারা যেমন চায়নি, তেমনিভাবে আমরা তরুণ প্রজন্ম চাই না। আমরা নিয়মের, জবাবদিহিতামূলক এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের বাংলাদেশ দেখতে চাই। এজন্য স্বচ্ছ মূলধারার কর্মী বান্ধব, জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক নেতা বঙ্গতাজ পুত্র সোহেল তাজ কে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে চাই।
রবিউল আওয়াল রাসেল নামে একজন বলেছেন, এই নিয়ে আমরা সাধারণ জনগণ মোটেও উদ্বিগ্ন নই,, রাষ্ট্র যন্ত্রের কাছে দূষিত পরিবেশ আমাদের প্রাপ্য,, আপনি দেখে শিল্প বিপ্লবে দেশ অলরেডি প্রেগনেন্ট। নদীনালা খাল বিলের কালো দূষিত পানিতে এখন আর মাছ বলতে কিচ্ছু নাই।
দেখুন, দেশে যদি ভেজাল না থাকে, পরিবেশ দূষিত না হয় তাহলে তো মানুষ অসুস্থ হবে না, আর ব্যাঙের ছাতার মতো তৈরি বেসরকারি হসপিটালগুলো চলবে না। কারা এই হসপিটালগুলোর মালিক? যারা পাবলিককে ভেজাল বিষাক্ত খাবার সরবরাহ করে, যারা নিয়মিত ফ্যাক্টরির বর্জ্য পদার্থ দ্বারা পরিবেশ ও জীবনের ক্ষতি করছে তারাই আবার হসপিটাল খুলে সেবা দিচ্ছে, যাবেন কই? এই চক্রের বাহিরে- ফাটা বাঁশের চিপায় বাঙালি।
জাহাঙীর জান আলম লিখেছেন, দেখার দায়িত্ব যাদের তারা চেতনা নিয়ে ব্যস্ত। তাদের স্বার্থের কাছে মানবতা ও জনগণের ভোগান্তি মূল্যহীন । সবাই নগদ নারায়ণ নিয়ে ব্যস্ত, অর্থাৎ কীভাবে নিজেদের ব্যাংক ব্যালেন্স বেশি করবেন- এটাই তাদের লক্ষ্য ।
এসআর