
শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে, অঝোরে নামবে বুঝি শ্রাবণে ঝড়ায়ে, আজ কেন মন উদাসী হয়ে, দূর অজানায় চায় হারাতে’ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অক্সিজেন সরবরাহ করছে গানটি। শহরের ইট-কাঠ ছাড়িয়ে গ্রামের ধানী জমির আলে কান পাতলেও শোনা যায় সে সুর। অনেকেরই অজানা এ গানটির সৃষ্টিকারী কে?
গানটির গীতিকার-সুরকার আশরাফ বাবু। অন্যজন গায়ক আলী আহমেদ বাবু। কলেজ ছাত্র আশরাফ বাবু তখন নতুন নতুন গান লিখছেন, সুর করছেন। আলী আহমেদ বাবু কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ‘রিপল ট্র্যাক’ নামে একটি ব্যন্ড করেছেন যেটিকে পরে ‘ডিফরেন্ট টাচ’ নাম দেওয়া হয়। তাদের প্রথম অ্যালবামের জন্য বাবু গানটি লেখেন বলে জানান। ১৯৮৯ সালে প্রকাশ পায় ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে’ গানটি।
আশরাফ বাবু বলেন, ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে’ ছাড়াও ডিফরেন্ট টাচ অ্যালবামে আমার লেখা ও সুর করা আরও তিনটি গান ছিল। সেগুলো হলো ‘দৃষ্টি প্রদীপ’, ‘স্বর্ণলতা’ ও ‘রাজনীতি’। এরমধ্যে ‘শ্রাবণের মেঘ’ ও ‘স্বর্ণলতা’ গেয়েছিলেন আলী আহমেদ বাবু। ‘দৃষ্টি প্রদীপ’ কণ্ঠে তোলেন মেজবাহ রহমান। ‘রাজনীতি’ গানটি ব্যান্ডের সকলে সম্মিলিত কণ্ঠে গেয়েছিলেন। পরে মনোমালিন্যের জেরে ব্যান্ড আলী আহমেদ বাবু ব্যান্ড ত্যাগের পর থেকে ‘শ্রাবণের মেঘ’-এ কণ্ঠ দেন মেজবাহ।’
বলে রাখা ভালো, ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে’ গানটি সবার জন্য উন্মুক্তকরে দিয়েছেন আশরাফ বাবু। নতুন প্রজন্ম যেন স্বাচ্ছন্দ্যে গাইতে পারে সে কথা বিবেচনা করে বাঁধেননি কপিরাইটে। সম্প্রতি গানটির জন্য টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) কর্তৃক সম্মাননা প্রদান করা হয় তাকে।
এ প্রসঙ্গে বাবু বলেন, এ গানটি সবার মুখে মুখে । অথচ দীর্ঘ সময়েও কেউ আমাকে এ গানের জন্য পুরস্কৃত করেনি। অবশেষে সম্প্রতি এ গানের জন্য প্রথমবার ট্রাব থেকে সম্মাননা পেলাম।